কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক ৩টি মামলায় দুইজনকে যাব্বজীবন ও ২ জনকে ৪ বছরের স্বশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রামু থানার দুটি মামলায় দু্ইজনকে যাব্বজীবন ও টেকনাফ থানার একটি মামলায় ২ জনকে ৪ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. লালচান মোল্লা ও রিপন চন্দ্রক ভৌমিক। একই সাথে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৪ বছরের সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. নুর হাকিম ও শাহাজাহান। তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সাজার আদেশ দেয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র মতে, রামু থানার ৪৭ নম্বর মামলার আসামী মো. লালচান মোল্লাকে যাব্বজীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তিনি ২০২১ সালের ১৭ জুলাই রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে ৯ হাজার ৭৫০টি ইয়াবাসহ যৌথবাহিনীর পোষ্টে আটক হন। পরে তার বিরুেদ্ধ ২০২২ সালের ৯ মে অভিযোগপত্র গঠন হয়। এরপর ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করে আদালত।
অপরদিকে, রামু থানার ২১ নম্বর মামলায় চন্দ্রকে যাব্বজীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তিনি ২০২১ সালের ৮ মার্চ একই ইউনিয়নের মরিচ্যাবাজার চেকপোষ্টে ৫ হাজার ৪০০ টি ইয়াবাসহ আটক হন। পরে তার বিরুদ্ধে রামু থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন বিজিবি। সেই মামলায় চলতি বছরের ১১ মে অভিযোগপত্র গঠন করেন। এই মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেছে আদালত।
অন্যদিকে টেকনাফ থানা ১৫ নম্বর মামলায় দুইজনকে ৪ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তারা ২০১৯ সালের ৪ মার্চ টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিসবুনিয়ার মেরিন ড্রাইভ সড়ক থেকে ১০০ লিটার মদসহ পুলিশের হাতে আটক হন। পরে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর ওই মামলার চার্জ গঠন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম বলেন, মঙ্গলবার মাদক আইনে ৩টি পৃথক মামলার রায় হয়েছে। ওই তিনিটি মামলাতে দুইজনের যাবজ্জীবন ও দুই জনের বিরুদ্ধে ৪ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষনার সময় আসামীরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।













