বাংলাধারা ডেস্ক »
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ তিন জায়গায় এক রাতেই অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কার্যালয়ের ভেতরে থাকা টেলিভিশন ও অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর করা হয়। তবে এসব ঘটনায় কাউকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেয় একদল দুর্বৃত্ত। ইউনিয়নের নয়াবাজারে জামাল মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় কার্যালয়টি অবস্থিত।
চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসহাব উদ্দিন বলেন, ‘আগুনে কার্যালয়ের ছাদ ও দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি পুড়ে গেছে। এ ছাড়া কার্যালয়ের ৩০টি চেয়ার ও সাইনবোর্ড নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তরা পেট্রল দিয়ে আগুন দিয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আমরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। তারপর আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের তেওয়ারীখিল এলাকায় লোহাগাড়া মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি গোলাম দস্তগীরের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় কার্যালয়ের ভেতরে থাকা টেলিভিশন ও অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কাউসার উদ্দিন বলেন, ভাঙচুরের সময় দুর্বৃত্তরা ওই এলাকায় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। একই রাত তিনটার দিকে বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে কিছু লোক। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
লোহাগাড়া থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলগুলোতে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এসব ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবে পুলিশ।’













