২৪ অক্টোবর ২০২৫

আজ পর্দা উঠছে বিপিএল’র

ক্রীড়া ডেস্ক »

ট্রফির সামনে রেখে দাঁড়িয়ে বিপিএলের অধিনায়ক-প্রতিনিধিরা। ফটোগ্রাফাররা তাদের বলেন, হাত দিয়ে ট্রফিটি ধরতে। কিন্তু কেউই এগিয়ে গিয়ে ধরেননি। তখন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বললেন, ‘কেউ (ট্রফি) ধরতে সাহস পাচ্ছে না।’ হাসির রোল বয়ে যায় মিরপুরের মাঠে। আজ শুক্রবার উদ্বোধনী ম্যাচে দুপুর আড়াইটায় মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ম্যাচে লড়বে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স।

এমন হালকা পরিবেশেই গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে হলো বিপিএলের নবম আসরের ট্রফি উন্মোচন। পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে ট্রফি না ধরার কারণটাও বলেছেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দল ৭টি হলেও, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছয় অধিনায়ক। অনুপস্থিত কে ছিলেন তা অনুমান করা সহজ।

বরাবরই এমন ফটোসেশন বা ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে দূরে রাখেন সাকিব আল হাসান। ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারও। ফরচুন বরিশালের অধিনায়কের পরিবর্তে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

ট্রফি উন্মোচন শেষে নিজ নিজ দল নিয়ে প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার কথা বলেছেন তারা।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইমরুল কায়েস বলেন, ‘কুমিল্লা সবসময় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল করে। এ বছরও আমাদের একই পরিকল্পনা। চেষ্টা করব এ বছরও শিরোপা ধরে রাখার জন্য। মাঠে ভালো খেলতে হবে। কাগজে কলমে যত শক্তিশালীই হই না কেন, মাঠে খেলতে না পারলে লাভ হবে না।’

বরিশাল ফরচুন’র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমি একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। দুবার ফাইনাল খেলেছি। অবশ্যই শিরোপা জেতার লক্ষ্যই থাকবে। চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে তো অবশ্যই ভালো লাগবে।’

পরে বরিশালের স্থানীয় ভাষায়ও এই কথা বলেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘মোরা একবারও চ্যাম্পিয়ন অইতে পারি নাই। চেষ্টা হরমু এইবার যেন মোরা চ্যাম্পিয়ন অইতে পারি।’

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স’র শুভাগত হোম চৌধুরী বলেন, ‘বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব পেয়ে ভালো লাগছে। আমিও খুব রোমাঞ্চিত। চেষ্টা করব নিজের দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করতে। (দল হিসেবে) সবার যে লক্ষ্য আমারও সেই লক্ষ্য (চ্যাম্পিয়ন হওয়া)। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই মাঠে নামব। আমাদের শক্তিশালী দিক হলো, টিম স্পিরিট। দল ভারসাম্যপূর্ণ। সেই হিসেবে আমরা আশা করতেই পারি।’

রংপুর রাইডার্স’র নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘অবশ্যই আশা থাকবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। ট্রফি এখনও (হাত দিয়ে) ধরিনি। যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি তাহলেই ধরব। আমাদের দল তরুণ, এনার্জেটিক। দলে অনেক অলরাউন্ডার আছে। মাঠে একশ ভাগ দিলে ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।’

‘(নিজেদের মাঠে) অনুশীলন আমাদের জন্য ভালো সুযোগ। সময়সীমা ছিল না, ইচ্ছেমত নিজেদের মাঠে অনুশীলন করতে পেরেছি। কিন্তু ম্যাচ মিরপুরে। এখানে নিজেদের শতভাগ দিতে হবে।’

ঢাকা ডমিনেটর্স’র নাসির হোসেন বলেন, ‘সবার মতো আমরাও চাইব চ্যাম্পিয়ন হতে। আমরা আশাবাদী, খুব ভালো কিছু করব। আমি এর আগেও অধিনায়কত্ব করেছি। প্রত্যেক টুর্নামেন্টেই সবার চ্যালেঞ্জ থাকে। এটা আমাদের জন্য একটা সুযোগ। এখানে ভালো করলে সামনের ক্যারিয়ারেও ভালো হবে। এটাই মনোযোগ থাকবে, সঙ্গে দলও যেন ভালো ফল করে।’

খুলনা টাইগার্স’র ইয়াসির আলি চৌধুরী বলেন, ‘আমি আসলে নার্ভাস না, রোমাঞ্চিত। জীবনের নতুন একটা অভিজ্ঞতা, তাও বিপিএলের মতো আসরে। চেষ্টা করব দলের জন্য ভালো কিছু করার। তামিম ভাইয়ের সঙ্গে দল গঠনের পর থেকেই কথা হচ্ছে। অধিনায়ক হওয়ার পর তেমন কথা হয়নি। শুধু বলেছেন, ‘আমাকে যখন তোর প্রয়োজন হবে আমি পাশে আছি। তোর কোনো কিছু লাগলে আমাকে বলিস। অবশ্যই সহায়তা করব।’

‘(তামিমের অধিনায়কত্বে বিপিএল অভিষেক, এবার তার অধিনায়ক) এটি আমার জন্য রোমাঞ্চকর। তামিম ভাইকে তো ছোটকাল থেকেই দেখি। ভালো লাগছে তামিম ভাইকে আমি লিড করব। এটা আমার জন্য অনেক গৌরবের, সম্মানের যে তামিম ভাইয়ের মতো খেলোয়াড় আমার নেতৃত্বে খেলবেন।’

ট্রফি উন্মোচনের পর কথা বলেননি সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি। তবে এর আগেই দলের অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমে নিজ দল নিয়ে আশার কথা বলেন তিনি।

সিলেট স্ট্রাইকার্স’র মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ‘(চ্যাম্পিয়ন হবো কি না) বলা কঠিন। তবে ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো মনে হচ্ছে। যারা কোচিং স্টাফে আছে, ক্রিকেটার সবার মধ্যেই… কম্বিনেশনও ভালো। মাঠে কেমন করবে, সেটা বলা কঠিন।’

আরও পড়ুন