২৪ অক্টোবর ২০২৫

সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

চট্টগ্রামের কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) এ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু রায়হান দোলন। তবে ‘স্পর্শকাতর’ এ ইস্যুতে তদন্ত কমিটি কী পেল সেই বিষয়টি খোলাসা করেননি তিনি।

তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনীর নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত টিম। ওই সময় শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ প্রায় ৪০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নিপীড়নের ঘটনা শুনে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন তদন্ত টিমের সদস্যরা। ওই সময় ওই স্কুলের ক্যান্টিনের পরিবেশ নিয়ে তাদের অস্বস্তির কথা জানান শিক্ষার্থীরা।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, ‘আমরা তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দিয়েছি। তদন্তে এসব বিষয় এসেছে কি না সেটা আমার বলার এখতিয়ার নেই। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’

মো. আবু রায়হান দোলন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে এ রিপোর্ট আমরা মন্ত্রণালয়ের পাঠাব। এর বাইরে আপাতত কিছু বলতে পারছি না।’

এর আগে রোববার নতুন বছরের শুরুতে বই উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে হঠাৎ আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আলাউদ্দিনের ওপর চড়াও হয় শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু এবং পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

চসিক ও জেলা প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ঘটনার পর দিন সমালোচনার মুখে অভিযুক্ত শিক্ষক আলাউদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে চসিক। এরপর বুধবার তদন্তপূর্বক তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশানের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তা ছাড়া চসিকের গঠিত তদন্ত কমিটি স্কুলটি সরেজমিন পরিদর্শন করে সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।

সহসাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে বলে জানিয়েছেন চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সরেজমিন পরিদর্শন করেছে তদন্ত টিম। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আশা করছি ওই সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’

আরও পড়ুন