কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারে পাঁচ লাখ পিস ইয়াবা জব্দের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আটজনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় প্রত্যেক জনকে এক লাখ টাকা অর্থ জরিমানাও করা হয়। তা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার গহিরা এলাকার নুর আহমদের ছেলে মো. কালু প্রকাশ (কালু মাঝি), ছালেহ আহমদের ছেলে মো. রফিক, মৃত আবদুল জলিলের ছেলে মো. রফিক, মফজল আহমদের ছেলে হাসমত আলী, মৃত কবির আহমদের ছেলে মো. হাসান, মৃত সোলেমানের ছেলে মো. নুরুল আলম আনোয়ারী, মৃত হাফেজ আবদুল মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম ও মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. নাসির।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ, অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দিন রাজু ও অ্যাডভোকেট রাসীব আহমদ মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার নথির বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ২০১৮ সালে বঙ্গোপসাগরে কলাতলী পশ্চিমে গভীর সাগর এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ লাখ ইয়াবাসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় কক্সবাজারসদর থানায় মামলার পর সাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনা প্রমাণ হওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এসময় অভিযুক্তরা আদালতের ডকে উপস্থিত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ থেকে ৮ লাখ ইয়াবা উদ্ধার মামলায় ৩ রোহিঙ্গাসহ চার আসামির ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে নগদ অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। আর ৩০ জানুয়ারির রায়ে ইয়াবা পাচার মামলায় মিয়ানমারের ৮ নাগরিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিশাত সুলতানা। রায়ে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। একই ভাবে ২৪ জানুয়ারি আরেক ইয়াবা পাচার মামলায় মিয়ানমারের তিন নাগরিককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। এসময় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডও করা হয়। অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ডাদেশ দেয় আদালত। সাজা শেষ হলে আসামীদের মিয়ানমারে পাঠানোর নির্দেশনাও দেয়া হয় রায়ে। রায় কালে আসামীরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ৮ জনের ১০ বছর করে কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।












