রাউজান প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হাফেজ বজলুল রহমান সড়কে রাতের আঁধারে সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা বালুবাহী ট্রাকের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে বিশ্বজিৎ দে (৩৫) নামের এক দর্জি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
নিহত বিশ্বজিৎ দে রাউজান উপজেলার পূর্বগুজরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মন্ডলের বাড়ির (ভুতু ডাক্তারের বাড়ি) মৃত বলরাম দে’র পুত্র। তিনি ৬ বছরের এক পুত্র ও এক মাস বয়সী এক কন্যা সন্তানের জনক। নোয়াপাড়া পথেরহাটের সেঞ্চুরি টেইলার্সের মালিক তিনি।
আহতরা হলেন— রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বেতাগী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দয়াল মাস্টারের বাড়ির সমীর সেনের ছেলে আকাশ সেন (১৮), বাবুল চৌধুরীর পুত্র জয় চৌধুরী (২২) এবং রাহুল দাশের ছেলে প্রবীর দাশ (২৭)।
আহতদের মধ্যে প্রথম দুইজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশেক।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাফেজ বজলুল রহমান সড়কের রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তে মহামুনি এংলো পালি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে অন্ধকারে সড়কের উপর একটি বালুবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। এমন সময় পাহাড়তলী চৌহমুনিমুখী একটি দ্রুতগামী সিএনজি চালিত অটোরিকশা সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটিকে পেছন হতে ধাক্কা দিয়ে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এই ঘটনায় ৪জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পথেরহাট পাইওনিয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিশ্বজিৎ দেকে নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানখার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বলেন, ঘটনাটি রাঙ্গুনিয়ায় ঘটেছে। এই ঘটনায় বিশ্বজিৎ নামের এক দর্জি নিহত হন। তার লাশ বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে রয়েছে।
নিহতের শ্যালক ইমন দে জানান, বেতাগীর একটি বিবাহের অনুষ্ঠানের পাঞ্জাবির মাপ নেওয়ার জন্য আমিসহ গিয়েছিলাম। মাপ নিয়ে ফেরার পথে রামগতি হাটে একটি সিএজিতে উঠি। আমাদের অটোরিকশাটি ছাড়ার এক থেকে দেড় মিনিটের মাথায় হঠাৎ একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এরপর কিছু মনে নেই। অটোরিশায় ৫ জন যাত্রী ছিল। সবাই কমবেশি আহত হয়েছেন। দাদার লাশ বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে রয়েছে।












