৫ নভেম্বর ২০২৫

শিশু সাহিত্যিক ইয়াছিনের গল্পগ্রন্থ ‘সানবির রংতুলি’ গ্রন্থের পাঠ উম্মোচন

বাংলাধারা ডেস্ক »

তরুণ শিশু সাহিত্যিক শেখ আব্দুল্লাহ ইয়াছিনের শিশু কিশোর গল্পগ্রন্থ ‘সানবির রংতুলি’ গ্রন্থের পাঠ উম্মোন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অমর একুশে বইমেলার লেখক আড্ডা ভেন্যুতে ‘শিশুর জন্য রঙিন পৃথিবী’ সাজাই স্লোগানে এক লেখক পাঠক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও শিশু সাহিত্যিক কামরুল হাসান বাদল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও শিশু সাহিত্যিক মাহবুব এ রহমান, ছড়াকার শফিকুল আলম সবুজ, শিশু কিশোর মাসিক ম্যাগাজিন দিন দুনিয়ায় সহ-সম্পাদক আজাদ শেখ, কবি ও লেখক কামরান চৌধুরী, কবি কাজী আমির হোসেন রিপন, বিএফ শাহীন কলেজের শিক্ষক ও উপন্যাসিক রেহানা পারভিন, সমাজকর্মী ও ঔপন্যাসিক জেবুন্নেসা সুইটি, লেখক কামরুল ইসলাম, লেখক শিপন নাথ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামরুল হাসান বাদল বলেন, বর্তমানে তরুণদের নিয়ে একটা নীতিবাচক ধারণা আছে। তারা পড়ে না, লেখে না, তারা সবসময় মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। যারা সৃষ্টিশীল তরুণ, তারা ভালো কিছু করার চেষ্টা করছে সবসময়। এই যেমন আপনারা এত দূর থেকে বইমেলা এসেছেন এবং এমন আয়োজনে শরিক হয়েছেন অবশ্যই তা প্রশংসনীয়। যতদিন আপনাদের মতো তরুণেরা দেশে আছে ততদিন বাংলাদেশ পথ হারাবে না।

তিনি আরও বলেন, সাপের বাচ্ছা সাপ হয়, কুকুরের বাচ্ছা কুকুর হয়। কিন্তু মানুষের বাচ্ছা জন্মের পর মানুষ হয়ে উঠে না। তাকে মানুষ হতে হয়, মানুষ হওয়ার চেষ্টা করতে হয়। আর মানুষকে সেই বোধটুকু শেখাতে পারে শিশু সাহিত্যিকেরা। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা সবসময় সৎ থাকবেন। লেখক হওয়ার পূর্ব শর্ত সৎ হওয়া। আপনি যদি সৎ না হোন তবে ঘুণে ধরা সমাজকে কি শিক্ষা দিবেন!

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহবুন এ রহমান বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম, আমাদের শৈশব কেটেছে মায়ের মুখের ছড়া শুনে। গল্প পড়ে আমরা ভাবতে শিখতাম, আমাদের মনন বিকশিত হতো। একজন শিশু সাহিত্যিককে প্রতিটা শব্দ, অক্ষর, শব্দচয়ন শিশুর মতো ভাবতে হবে। আমি মনে করি প্রত্যেক মানুষের মাঝে একজন শিশু আছে। আর তা জাগাতে পারে একজন শিশু সাহিত্যিক। একজন শিশু সাহিত্যিক শিশুদের ভালো কাজে উৎসাহিত করতে পারেন।

উপস্থিত বক্তারা শিশুকে বই তুলে দেওয়া ও বই মুখি করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, শিশুদের বিকাশের জন্য মোবাইল ডিভাইসের পরিবর্তে তাদের হাতে বই তুলে দিতে হবে। এখন আমরা দেখতে পায় অনেক শিশুরা ভালো ভাবে কথা বলতে শিখে না, তাদের মাঝে জড়তা কাজ করে। অভিভাবকেরা শিশুদের সব কিছু ধরে ধরে শিখাতে হবে, শিখার প্রতি শিশুদের ভালো লাগা, উৎসাহ তৈরি করতে হবে। আর সমাজের এই কাজটি করতে হবে শিশু সাহিত্যিকদের। শিশু সাহিত্যিকেরা এতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ