৭ নভেম্বর ২০২৫

সীমার মালিকপক্ষের কারও হদিস মিলছে না !

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেডে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ২০ জনের মধ্যে দুই জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন, বাকি ১৮ জন এখনও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে প্রভাস শর্মা নামের এক কর্মচারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানা গেছে।

জানা যায়, সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেডে উৎপাদিত অক্সি-এসিটিলিন গ্যাস লোহার পাত কাটা ও লোহা গলাতে ব্যবহার হয়। বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় বিশেষ করে জাহাজভাঙা ও স্টিল রি-রোলিং মিলে এই গ্যাস ব্যবহার করা হয়। প্রয়াত শিপব্রেকিং ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শফির গড়ে তোলা কারখানাটি বর্তমানে তার তিন ছেলে মামুন উদ্দীন, আশরাফ উদ্দীন ও পারভেজ উদ্দীন পরিচালনা করেন।

তাদের মালিকানায় সীতাকুণ্ডের জাহানাবাদে এস ট্রেডিং নামে তাদের একটি জাহাজভাঙা এবং বানু বাজার এলাকায় সীমা স্টিল রি-রোলিং মিল (এসএসআরএম) নামে একটি কারখানা রয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে মালিকপক্ষের কারও হদিস মিলছে না। এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থলে মালিকের তিন ছেলে কিংবা কোনো প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম বলেন, আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। ঘটনার পর থেকে ওনাদের কোনো হদিস আমরা পাচ্ছি না।

একই বিষয়টি জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদও। তিনি বলেন, মালিকপক্ষের কোনো প্রতিনিধিকে আমরা ঘটনাস্থলেও পাইনি, হাসপাতালেও পাইনি।

চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল হালিম জানান, ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ অভ্যন্তরীণভাবে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। আবারও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় প্ল্যান্টে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ‘স্ট্যান্ডবাই’ রাখা হয়েছে।

তবে ধ্বংসস্তূপে হতাহত কিংবা নিখোঁজ আর কেউ না থাকার বিষয় নিশ্চিত হওয়ায় সেখানে উদ্ধার ও তল্লাশি কার্যক্রমের আর প্রয়োজন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

আব্দুল হালিম আরও জানান, উদ্ধার কাজ সমাপ্ত হয়ে যাওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষকে কারখানা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আর মালিকপক্ষের কাউকে না পেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ফায়ার সার্ভিসের টিম সেখান থেকে চলে আসবে।

এদিকে, মালিকপক্ষের কাউকে না পাওয়া এবং অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অপরাধে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার ওসি।

বাংলাধারা/এআই

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ