শাহ আব্দুল্লাহ আল রাহাত »
সাগরের পাড়ের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওডিআই সিরিজের শেষ ম্যাচকে ঘিরে কাউন্টারগুলো প্রায়ই ফাঁকা। টস জিতে ব্যাট করতে নামা তামিমদের ব্যাটিং দেখা নেই খুব একটা আগ্রহ নেই দর্শকের মাঝে। পতাকা প্ল্যা কার্ড বিক্রেতারা অনেকটা হতাশ বিক্রি না থাকায়।
হচ্ছে না পতাকা বিক্রি
চট্টগ্রামের চাক্তাইয়ের মোশারফ হোসেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এলাকায় এসেছেন বাড়তি একটু আয়ের আশায়। পেশায় শ্রমিক হলেও চট্টগ্রামে বাংলাদেশের খেলা পড়লে পতাকা, কপালের ভ্যান আর ক্যাপ টুপি বিক্রি করতে চাক্তাই থেকে ছুটে আসেন তিনি। সবশেষ বিপিএলে প্রতিদিন পতাকা, টুপি, কপালের ভ্যান বিক্রি করে নিয়মিত আট থেকে নয় হাজার বিক্রি করতেন মোশাররফ। এছাড়া বাংলাদেশ ভারত সিরিজের শেষ ওডিআইতে প্রায় দশ হাজার বিক্রি করেছিলেন তিনি। 
বাংলাদেশ ইংল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে বিক্রি নেই বললে চলে।দিনের অনেকটা সময় হলেও এখনো ৫শ টাকাও বিক্রি হয়নি তার। সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অবস্থান করছের মোশারফ। পতাকা বিক্রেতা রহমানের অবস্থাও একই। সকাল থেকে স্টেডিয়াম এলাকায় অবস্থান করেও হচ্ছে না বিক্রি। অনেকটা হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রহমান।
টিকিট কাউন্টার ফাঁকা
সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচকে ঘিরে দর্শক না থাকায় টিকিট কাউন্টারগুলো একদমই ফাঁকা।বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু হলেও দর্শক নেই মাঠে।খেলা দেখতে আসা দর্শকরা জানান সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচ না হওয়ায় এই ম্যাচকে খুব একটা আগ্রহ নেই দর্শকদের। তাই কাউন্টারগুলো অনেকটা দর্শক শূন্য।

হচ্ছে না প্ল্যা-কার্ড বিক্রি
সাগরিকার মোড় থেকে যত সামনে যাওয়া যাবে ততই দেখা যাবে পতাকা বিক্রেতা ওয়ালাদের। স্টেডিয়ামের একদম প্রধান গেইট আসলে চোখে পড়বে সারি সারি প্ল্যা কার্ড। রাজধানী ঢাকা থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্ল্যা-কার্ড বিক্রি করতে এসেছেন রাসেল। পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য চেষ্টা করেন তিনি। প্ল্যা-কার্ডে লিখাগুলোতে আছে সাকিব তামিদের বন্দনা। তবে দর্শক নেই প্ল্যা-কার্ড বিক্রিও নেই।

বাংলাদেশ ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোর চেষ্টায় ব্যস্ত বাংলাদেশ। তবে মাঠে নেই দর্শক আর নিস্প্রাণ হয়ে আছ স্টেডিয়াম এলাকা।













