বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক পারভেজ উদ্দীন সান্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরের জিইসি মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে শিল্প পুলিশ চট্টগ্রামের ইউনিট।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সুলাইমান গণমাধ্যমকে বলেন, সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি কারখানার মালিক পারভেজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় শিল্প পুলিশের খুলশি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত ৬ মার্চ সীতাকুণ্ড থানায় সীতাকুণ্ড সীমা অক্সিজেন বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
এর আগে গত ৪ মার্চ বিকেলের দিকে সীতাকুণ্ডের কদমরসুলপুর এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঐদিন ৬ জন নিহত হয়৷ এখন পর্যন্ত সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। গত ৫ মার্চ বিকেলে বিস্ফোরণে ঘটনায় নিহত ৬ জনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিস্ফোরণে নিহত ৬ জন হলেন- সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী জাহানাবাদ এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে শামছুল আলম (৫৬), ভাটিয়ারী বিএমএ গেট এলাকার আবুল বাসার মিয়ার ছেলে মো. ফরিদ (৩৬), নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া এলাকার চিকি রোঙ্গী লখরেটের ছেলে রতন লকরেট (৪৫), নোয়াখালী জেলার মাইজদী থানার অলিপুর এলাকার মৃত মকবুল আহমেদের ছেলে আবদুল কাদের (৫৮), লক্ষ্মীপুর জেলার কমল নগর থানার চর লরেন্স এলাকার মহিদুল হকের ছেলে মো. সালাহ উদ্দিন (৩০) ও ময়মনসিংহ জেলার সেলিম রিচিল। এর মধ্যে শামছুল আলম ও সালাহউদ্দিন কারখানার কর্মী নন। ঘটনার সময় তাঁরা ছিলেন কারখানা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। গত ৫ মার্চ রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রবেশ লাল শর্মা (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। নিহত প্রবেশ লাল শর্মা ভাটিয়ারী ৬ নম্বর ওয়ার্ড মতিলাল শর্মা বাড়ির মৃত মতি লাল শর্মার ছেলে।
সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হন অন্তত ২৫ জন। এর মধ্যে ২০ জন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছে শিল্প পুলিশ। দুই দিন আগে শিল্প পুলিশের কাছে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়।












