৫ নভেম্বর ২০২৫

রেলের কোয়ার্টার নিয়ে ‘জমিদারি’, চলছে ভাড়াবাণিজ্য

হাসান সৈকত »

রেলওয়ের কর্মচারিদের জন্য বরাদ্দ কোয়ার্টারে বাড়তি উপার্জনের আশায় অবৈধভাবে অতিরিক্ত ঘর তুলে ভাড়া দিচ্ছে অনেকে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ঠিক দক্ষিণ পাশেই স্টেশন কলোনি। যা সম্পূর্ণভাবে রেলওয়ের কর্মচারিদের জন্য বরাদ্দ হলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব কোয়ার্টারের আশেপাশে অতিরিক্ত ঘর তুলে অবাধেই চলছে ভাড়াবাণিজ্য।

চট্টগ্রাম রেলওয়ের টি/এ ব্রাঞ্চ আফিসে কর্মরত কেরানি নাজমুল হুদা। তার কোয়ার্টার নং টি-৩৯ এ। তিনি তার বরাদ্দ কোয়ার্টারে বাড়তি উপার্জনের জন্য আশেপাশের খালি জায়গায় অতিরিক্ত ঘর তুলে চালাচ্ছেন ভাড়াবাণিজ্য। এছাড়াও ব্যাক্তিগতভাবে কোয়ার্টারের ছাদে অতিরিক্ত ঘর তুলে ব্যাবহার করছেন তিনি। যা রেলওেয়ে নিয়ম-নীতির সম্পূর্ণ বহির্ভূত।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কেরানি নাজমুল হুদার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলাধারা প্রতিবেদকের সাথে বসে আপোষে আশার কথা বলেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তিনি চট্টগ্রাম রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলীর অনুমতি নিয়ে কোয়ার্টারের ছাদে অতিরিক্ত ঘর তুলেছেন।

একই রকম অসঙ্গতি দেখা যায়, চট্টগ্রাম রেলওয়ের প্রধান কার্যালয়ের পাশেই অবস্থিত রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনিতে। হাসপাতাল কলোনির একটি কোয়ার্টারে থাকেন মারজানা নামের একজন নার্স। খবর নিয়ে জানা যায়, মারজানা সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতালের সিনিয়র নার্স। হাসপাতাল কলোনি এলাকায় তিনি জমিদার নামে খ্যাত। তার নামে বরাদ্দকৃত কোয়ার্টারে অতিরিক্ত আরও ৮-১০টি ঘর তুলে চালাচ্ছেন ভাড়াবাণিজ্য। এক রুমের প্রতিটা ঘরের ভাড়া হাকেন ৩৫০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে মারজানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি একাই এই কাজের সঙ্গে জড়িত নয়। ওই এলাকার বসবাসকারী সকল রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারি অতিরিক্ত ঘর তুলে চালাচ্ছেন ভাড়া।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্ব) চট্টগ্রামের জিএম জাহাঙ্গীর হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘যে বা যারা রেলওয়ে কোয়ার্টারে অতিরিক্ত ঘর তুলে ভাড়া দিচ্ছেন তাদের নামের তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে। যদি এই তথ্য প্রমাণিত হয়, তবে এই ধরনের কাজে জড়িত ব্যাক্তিদের কোয়ার্টার বাতিল করা হবে।’

আরও পড়ুন