৯ নভেম্বর ২০২৫

শ্রমিক সমাজে যে ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে তা শেখ হাসিনারই অবদান : নওফেল

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার খেটে খাওয়া মানুষ ও শ্রমিক বান্ধব সরকার। তিনি তার পিতা বঙ্গবন্ধুর মতই জনদরদি এবং তার শক্তির উৎস ছিল শ্রমিক শ্রেণি। একইভাবে শেখ হাসিনারও সকল কর্ম উদ্যোগের শক্তির উৎস শ্রমিক শ্রেণি। তিনি শ্রমিক শ্রেণির অধিকার আদায়ে সচেষ্ট এবং তিনি সব সময় শ্রমিকদের পক্ষ অবলম্বন করে মালিকপক্ষের সাথে দর কষাকষি করেন। একারণে আজ শ্রমিক শ্রেণির যতটুকু ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে তা শেখ হাসিনারই অবদান।

রবিবার (৯ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর দারুল ফজল মার্কেটে অবস্থিত মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সিবিএন নন সিবিএ সমন্বয় পরিষদের ব্যবস্থাপনায় শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ইফতার ও সেহেরী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, একটি মহল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ছলে বলে কৌশলে দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়। শ্রমিক শ্রেণি যাতে কোন বিভ্রান্তির চোরাবালিতে পা না দিয়ে শ্রমিক মালিক বিরোধের ইস্যু তৈরি না করে এবং কল-কারখানাসহ সকল ক্ষেত্রে উৎপাদনের চাকাকে সচল রাখে। দেশের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একটি মহল কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে চায়। এমনকি রমজান মাসেও নিত্য পণ্যের দাম বাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যারা এসব করছে তার ভালো মানুষ নয়, এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকারক।

তিনি আরো বলেন, কিছু কিছু শ্রমিক নেতা আছেন যারা কখনো শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় আন্তরিক নয় বরঞ্চ মালিকদের সাথে চোরাগোপ্তা আঁতাত করে নিজেদের পকেট ভারি করে চলেছেন। আমরা চট্টগ্রামে শ্রমিক নেতা হিসেবে জহুর আহমদ চৌধুরী ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে দেখেছি। তাদের উত্থান ঘটেছিল শ্রমিক রাজনীতির মধ্যদিয়েই। তারা শ্রমিকদের আস্থাভাজন ছিলেন। শ্রমিকদের এই বিশ্বাসকে পুঁজি করে কখনো শ্রমিক স্বার্থের প্রশ্নে তিল পরিমাণ আপোষ করেননি। তাদের এই প্রভাব বর্তমান তরুণ শ্রমিক লীগ নেতা অনেকের মাঝেই দেখতে পাই।

জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর সিবিএ নন সিবিএ সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন আবু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, টিএনটি সিবিএর সভাপতি ছাবের আহমদ, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, আব্দুল লতিফ, রেল শ্রমিক লীগের অরুন চন্দ্র, সাইমন হোসেন ভোর, দর্জি শ্রমিক লীগের জামাল উদ্দীন লিটন, মোঃ ফরিদ, পুরাতন কাপড় ক্ষুদ্র সমিতির কামাল উদ্দীন বাদল, খাতুনগঞ্জ লোডিং আন লোডিং সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম, নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের মোঃ জাফর, নাসির উদ্দীন, চট্টগ্রাম জেলা বৈদ্যুতিক টেকনিশিয়ান সমিতির শাহজাহান ভূইয়া, চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক লীগের মাহবুবুর রহমান লিংকন, হোটেল রেস্টুরেস্ট শ্রমিক ইউনিয়নের মোঃ ফারুক, মোঃ মিজান, রিক্সা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজগর, রেল শ্রমিক লীগের রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজেস বড়ুয়া, পাহাড়তলী টেক্সটাইলের শাহজাহান সাজু, ইউনিলিভার এর আব্দুল মান্নান টিটু, প্লাস্টিক রিসাইকিলিং এর সমীরুল ইসলাম তুহিন, এমজি রহমান দিপু, বাকলিয়া থানা শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল লতিফ, নুরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মোঃ সোহেল, আলী হোসেন মোঃ রুবেল প্রমুখ।

আরও পড়ুন