কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজার সৈকত পাড়ের ছিন্নমূল শিশু-কিশোর, সার্ফার এবং বিচ পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে পর্যটনসেবী প্রতিষ্ঠান তারকা হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সমুদ্র এলাকার তিন পেশার দু’শতাধিক জনকে এসব উপহার সামগ্রি তুলে দেন সায়মনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব-উর-রহমান রুহেল।
একই দিন সন্ধ্যায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও বিশিষ্টজনদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহাফিলের আয়োজন করেছে ‘সায়মন বিচ রিসোর্ট’। হোটেলের কাসাব্লাংকা রেস্টুরেন্টে করা ইফতার আয়োজনে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষ, দাতা সংস্থার দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি এবং পর্যটন সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার পূর্ব আলোচনায় সায়মনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহাবুব-উর-রহমান রুহেল বলেন, গত অর্থবছরে কক্সবাজারের সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা হিসেবে সায়মন দ্বিতীয়বারের মতো পুরস্কার অর্জন করেছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতকে ঘিরে সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প বিকাশে ১৯৬৪ সালে স্বল্প পরিসরে সায়মন হোটেলের যাত্রা করেন আমার পিতামহ। কক্সবাজারের পর্যটনকে বিশ্বময় করতে সায়মন হোটেল আবাসন সেবার অন্যতম এক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর হয়েছে। পর্যটনে আরো বিকাশে সুন্দরের অপার লীলাভূমি কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা এবং পরিবেশ উন্নয়নে সবার আন্তরিক হওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে দুটি দৃষ্টিনন্দন ট্রাফিক পুলিশ বক্স সায়মনের পক্ষ থেকে করে দেয়া হয়েছে। সেন্টমার্টিনে স্থানীয় ও পর্যটকদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে হাসপাতালের গোড়াপত্তন সায়মনই নিজস্ব অর্থায়নে করেছে। পর্যটনের স্বার্থে আরও বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা আগ্রহী। সায়মন বিচ রিসোর্ট নিজস্ব উদ্যোগে বালুকাময় বিচ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করে আসছে। সৈকত তীরের সকল বড় প্রতিষ্ঠান এভাবে এগিয়ে এলে কক্সবাজার আরো আধুনিক ও বিশ্বমানের পর্যটন নগরী হিসেবে ভীত গড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত করেন কক্সবাজার বদর মোকাম জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি ইমদাদুল্লাহ।
এর আগের দিন মিরসরাই সমিতি কক্সবাজারের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাঁচ তারকা হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুব রহমান রুহেল। শহরের বাহারছরার এক হোটেলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলকে ঘিরে একত্রিত হন কক্সবাজারে বসবাসরত মিরসরাইবাসী। সেখানে উল্লেখ করা হয়, অর্থনৈতিক অঞ্চলের কারণে সারাবিশ্বে মিরসরাই আজ পরিচিত।মিরসরাইবাসী যত ঐক্যবদ্ধ থাকব, ততই মঙ্গল তাদের শক্তি বাড়বে।
এতে, কক্সবাজারে কর্মরত উপসচিব শামছুদ্দৌজা নয়ন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ৮ এপিবিএন মোহাম্মদ গোলাম রসুল নিজামুদ্দিন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমান, ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন পলাশ,জাফর ইকবাল শিবলু, মাহিন উদ্দিন চৌধুরী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।













