কক্সবাজার প্রতিনিধি »
পবিত্র রমজানের কারণে পূর্বের মতো বাঙালীয়ানার শোষ আনা পূরণে পহেলা বৈশাখের দিনব্যাপী কোন আয়োজন ছিল না এবার। কিন্তু বর্ণাঢ্য র্যালীর মাধ্যমে পর্যটন শহর কক্সবাজারে ১৪২৯ বঙ্গাব্দকে বিদায় ও ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে বরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে চৈত্রের তীব্র দাবদাহের মাঝেও কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরী শহীদ দৌলত ময়দানে গানে-গানে শুরু হয় বৈশাখ উদযাপনের অনুষ্ঠান। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কক্সবাজার শাখার আয়োজনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের পরিবেশনা করে। এরপর বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বিশ্বব্যাপী শান্তির আহবানে আয়োজিত শোভাযাত্রাটি কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করেন।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের র্যালীতে যোগ দেন প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ। এতে আরো যোগ দেয় সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, সাধারণ সম্পাদক মো. নজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বর্ণাঢ্য ও মনোরম সাজে বাদ্যের তালে র্যালীতে যোগ দেয় তত্বাবধায়ক শাহ আলম খানের নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে দৌলত ময়দানে আবারও শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। যেখানে গান, নৃত্য, কবিতায় বরণ করে নেয়া হয় বাংলা নববর্ষ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ। দুপুর পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান।
অপরদিকে, কক্সবাজার সরকারি কলেজ, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাংলা নববর্ষকে বরণ করেছে।
কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেসম সিকাদার জানান, রোজার মাস এবং গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এবার পহেলা বৈশাখকে ঘিরে পর্যটক নেই বললে চলে। বেশির ভাগ হোটেল-মোটেলে কক্ষ ফাঁকা পড়ে আছে।
ওশান প্যারাডাইস হোটেলের পরিচালক আবদুল কাদের মিশু বলেন, বাংলা নববর্ষ বরণে হোটেল-মোটেল জোনে আমরাই তিনদিনের বর্ণিল বৈশাখী মেলার আয়োজন করি। হোটেল লবি, পার্কিং এলাকায় নানা রঙের স্টল, মেলার অনুষঙ্গ বসিয়ে ‘বাঙালিয়ানার শোষ আনা’র স্বাদ দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, দেশী-বিদেশী পর্যটক, স্থানীয় বিনোদন প্রেমিরা অংশ নেন। গণমাধ্যম আমাদের আয়োজন ফলাও করে প্রচার করে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর করোনা কালের কারণে আর এবার পবিত্র রমজানের কারণে আয়োজন করতে পারিনি।
কক্সবাজার শহর ছাড়াও টেকনাফ, উখিয়া, রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নববর্ষ বরণে নানা আয়োজন ছিল।
কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজিবুল ইসলাম জানান, পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণে আমাদের দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। জোটভুক্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নাচ, গান, আবৃত্তি, নৃত্য পরিবেশন করছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বর্ষবরণ ঘিরে শহরের বিশেষ বিশেষ স্থানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পোশাকধারী সদস্যর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) টহলে ছিল













