বাংলাধারা ডেস্ক »
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেকোনো জাতিকে উন্নত করতে হলে প্রশিক্ষণ একান্তভাবে অপরিহার্য। পৃথিবী পরিবর্তনশীল, এখন হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
রোববার (১৬ এপ্রিল) সকালে গণভবনে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের (এনটিসি) অষ্টম সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের কী কী করণীয়, কীভাবে আমরা পথ চলতে পারি, কীভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিল (এনটিসি) সে বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বলেছিলাম, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, আজকের বাংলাদেশ কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ।’
এর সুফল কিন্তু একেবারে গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত মানুষ পাচ্ছে। এবারে যে ঘোষণা আমরা আগামী নির্বাচনে দেব, আমরা কিন্তু আগামই ঘোষণা দিয়েছি, তা হলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেকোনো জাতিকে উন্নত করতে হলে প্রশিক্ষণ একান্তভাবে অপরিহার্য। পৃথিবী পরিবর্তনশীল, এখন হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, রাস্তা-ঘাটসহ দেশের সার্বিক উন্নতি হয়েছে। সেইসঙ্গে আমাদের জনগোষ্ঠীও যেন আগামী দিনের পথচলায় সমানভাবে প্রশিক্ষিত হয়, সেভাবে আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত। সেভাবে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। যেকোনো বিষয়ে আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এর জন্য উপযুক্ত জনশক্তিও আমাদের প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি, যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে। এর জন্য আমাদের প্রশিক্ষিত কর্মী লাগবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পর যারা আসবে, তারা যেন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারে, গণতান্ত্রিক ধারাতে যেন অব্যাহত থাকতে পারে, সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।’
কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে আমরা যদি কৃষি উৎপাদন করি, আমরা অনেক বেশি খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে পারব। সংরক্ষণের ব্যবস্থার পাশাপাশি বাজারজাত করা, এমনকি রপ্তানি পণ্য হিসেবে সেগুলো সবচেয়ে বেশি রফতানি হবে। এটা আমি বিশ্বাস করি।’
দেশের দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন এবং দেশকে উন্নত করতে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে পরিবর্তন করতে।’ এসময় ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা পুনরুল্লেখ করে এর জন্য প্রশিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি গড়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।
আগামী প্রজন্ম যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারে; সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তবে মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন না করা দলগুলোর বৈরি মনোভাবের কারণে বাধা-বিপত্তি আসবে। সেসব অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।













