৬ নভেম্বর ২০২৫

বইয়ের রয়েলিটির টাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদ উপহার

চবি প্রতিনিধি »

শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ ‘সানবির রংতুলি’র রয়েলিটির পুরো অংশ দান করা হয়েছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য। ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে একশো জন শিশুর মধ্যে ঈদের নতুন জামা ও ঈদ সামগ্রী প্রদানে ব্যয় করা হয় এই অর্থ।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঠশালা ‘জাগো স্কুল’ এর শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ইয়ুথ উইং ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ‘keep this megic alive’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

গত রবিবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরীর আরবি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে শিশুদের মধ্যে ঈদের নতুন জামা ও ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের হাসি ফোটাতে ও ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শিশু তোষ গল্পগ্রন্থ ‘সানবির রংতুলি’র সম্পূর্ণ রয়েলিটি দান করেন বইটির লেখক শেখ আব্দুল্লাহ ইয়াছিন।

শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে লেখা সানবির রংতুলি। সাধারণত সমাজ প্রেক্ষাপটে দেখা যায় শিশুরা যা করতে চাই তা অবিভাবকেরা করতে দেন না। অনেক সময় আবার অবিভাবকেরা তাদের ইচ্ছে শিশুদের উপর চাপিয়ে দেন এতে করে অবিভাবকদের সাথে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়া উচিত তা না হয়ে একপ্রকার বৈরি সম্পর্ক দেখা দেয়। যেখানে বাবা মার সাথে হওয়া উচিত একটি সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। অন্যদিকে শিশুরা প্রায় হীনমন্যতায় ভোগেন। তারা আত্মবিশ্বাস খুজে পান না যে সেও পারে। সমাজের এই টানাপোড়েনার থেকে কিভাবে বের হওয়া যায় এবং শিশুরা কিভাবে ইচ্ছের ঘুড়ি উড়াতে পারে সানবির রংতুলিতে তা তোলে ধরা হয়েছে।

লেখক ও সাংবাদিক শেখ আব্দুল্লাহ ইয়াছিন বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করছি। লেখালেখি করি শিশুদের জন্য। আমার সামর্থ্য সীমিত। এই ঈদে নিজে যদি কিছু শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে পারতাম সেই ভাবনা থেকে প্রথম বইয়ের রয়েলিটি অংশটি দান করেছি। আমি আমার প্রথম বইয়ের রয়্যালটি শিশুদের সাথে ভাগাভাগি করতে চেয়েছিলাম।

উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ ও দেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত শিশু কিশোর গল্পগ্রন্থ সানবির রংতুলির মোড়ক উন্মোচন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড শিরীন আক্তার। ইত্যিমধ্য বইটি দেশ সাড়া ফেলেছে। অক্ষরবৃত্ত থেকে প্রকাশিত বইটি ২০২৩ এর বইমেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টলে স্টক আউট হয়।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ