৭ ডিসেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ মরদেহ, গ্রেফতার দুই আসামির ৫ দিনের রিমান্ড

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন নাজিরারটেক পয়েন্ট সাগরে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ২ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হলে কক্সবাজার সদরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চ্যঙ্গা ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার মালিক সামশুল আলম ওরফে সামশু মাঝির স্ত্রী রোকেয়া আকতার বাদি হয়ে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দূর্জয় বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দূর্জয় বলেন, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর বুধবার থেকে এদের রিমান্ডের নেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘটনায় এজাহারভূক্ত অপর ২ আসামিসহ জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের ৫টি দল মাঠে কাজ করছেন।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ২ আসামি হলেন মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামি মাতারবাড়ি ইউনিয়নের সাইরার ডেইল এলাকার মুহাম্মদ ইলিয়াছের ছেলে ট্রলার মালিক বাইট্টা কামাল (৪৫) ও হোয়ানক ইউনিয়নের মোহরাকাটা গ্রামের মৃত মকবুল আহমদের ছেলে মামলার ৪ নাম্বার আসামী নরুল করিম ওরফে করিম সিকদার মাঝি (৫৫)। এরা দুজন মঙ্গলবার গ্রেফতার হন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এজাহারের উল্লেখ থাকা অপর ২ আসামি হলেন, মাতারবাড়ির আনোয়ার হোসেন ও বাবুল মাঝি।

রোববার গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধিন একটি ট্রলার সাগরে ভাসমান থাকা ট্রলারটি নাজিরারটেক উপকূলে নিয়ে আসে। আর ওই ট্রলারের কোল্ডস্টোরেজে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ট্রলারটির মালিক মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া এলাকার ছনখোলা পাড়ার মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে সামশুল আলম প্রকাশ সামশু মাঝি। যার মরদেহ গ্রহণ করেছেন তার স্ত্রী রোকেয়া। ইতিমধ্যে দায়ের হওয়া মামলার বাদিও তিনি। রোকেয়া বেগমও স্বীকার করেছেন ট্রলারটি মালিক তার স্বামী।

ইতিমধ্যে উদ্ধার হওয়া ৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলেও মর্গে রয়ে গেছে ৪ জনের মরদেহ। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এ ৪ জনের পরিচয়। এরপরই ৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান পুলিশ।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ২৩ এপ্রিল ট্রলারের বরফ রাখার কক্ষ থেকে ওই ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। কয়েকজনের শরীরে জাল প্যাঁচানো ছিল। একটি লাশের গলা থেকে মাথা ছিল বিচ্ছিন্ন। আরেকটি লাশের হাত বিচ্ছিন্ন পাওয়া গেছে। লাশগুলো ট্রলারের যে কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই কক্ষের ঢাকনাও পেরেক দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল। অথচ ট্রলারের জাল ও ইঞ্জিন রয়ে গেছে। তাই মনে হচ্ছে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত।

আরও পড়ুন