৫ নভেম্বর ২০২৫

২০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

২০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ২০ বছর আগে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী দিদারুল আলমকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত পৌনে দশটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর ফিরিঙ্গী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত দিদারুল আলম হাটহাজারী থানার ফটিকালতি এলাকার মৃত সৈয়দ আহাম্মদের ছেলে।

বুধবার (১৭ মে) সকালে নগরের চান্দগাঁও র‌্যাব-৭ এর মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ২০০৩ সালের ২৫ নভেম্বর হাটহাজারী থেকে মোহাম্মদপুরগামী রাস্তায় অবস্থান নিয়ে সাধারণ লোকজনকে আটক করে তাদের হাত পা বেঁধে নির্যাতন ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লুটপাটের সময় জাহাঙ্গীর আলম নামের এক পথচারী ডাকতদলের সদস্যদের চিনে ফেলায় তাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী দিদারুল আলমকে ফিরিঙ্গি বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত দিদারুল খুনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকা ও ২০ বছরের পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে। ঘটনার বিবরণ দিয়ে সে জানায়, জাহাঙ্গীর তাদের চিনতে পেরে চিৎকার শুরু করে। পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে তখন জাহাঙ্গীর আলমের উরুতে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরি দিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।

আটকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ২৯ নভেম্বর নিহত জাহাঙ্গীর আলমের প্রতিবেশী মো. ফজল আহাম্মদ ড্রাইভার ডাকাতির ঘটনায় বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের হওয়ার পর ওইদিন রাতেই দিদারুল আলম প্রকাশ দিদারকে হাটহাজারী থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। কিছুদিন জেল হাজতে থাকার পর আসামি দিদারুল আলম জামিনে মুক্তি পেয়ে বের হয়। এর পরপরই সে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। ২০২২ সালের ৩০ মে আদালত আসামি দিদারুল আলম প্রকাশ দিদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অন্য একটি ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ