চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন বার্মা কলোনীতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধে বিক্রি হচ্ছে সরকারী জায়গা। সরকারী আশ্রয়ে থাকা উদ্বাস্তুদের একটি চক্র অবৈধভাবে বিক্রি করে দিচ্ছে সরকারী জায়গা। প্রায় ৩৫ একর ৯০ শতাংশের সরকারী খাস জায়গায় গড়ে উঠা এই কলোনির একটি অংশ অসাধু সিন্ডিকেট গড়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে সেখানকার বাসিন্দারা। সরকারী জমি বিক্রি করে চক্রকি হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা।
রোববার (২৮ মে) সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, একটি দুটি নয়, বরং বেশ কয়েকটি প্লট বিক্রি হয়ে গেছে। বিক্রি হওয়া সেসব প্লটে মূল উদ্বাস্তুদের পরির্বতে লক্ষ্য করা যায় ভাড়াটিয়াদের অবাধ বিচরণ।
বিক্রি হওয়া একটি বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে সরাসরি ক্রেতাপক্ষকে না পেলেও মুঠোফোনে কথা হয় ক্রেতাপক্ষের সাথে। এসময় মুঠোফোনে জায়গা কেনার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বাড়িটি আমি ফরিদ নামে একজনের কাছ থেকে ৪১ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছি।
আগের বার্মা কলোনী পরিচালনা এডহক কমিটির দায়িত্বে থাকাদের দাবী বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রশ্রয়ে অবৈধভাবে বিক্রীর সুযোগ পাচ্ছে বাসিন্দারা। পূর্বের এডহক কমিটির কয়েকজন জানান, নতুন এডহক কমিটি এসব সরকারী জমি বিক্রির সময় কোন বাঁধা দেয়না। ডিসি অফিসকে জানায় না। যে কারণে একটি চক্র অবাধে সরকারী জায়গা বিক্রি করে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে দিচ্ছে।
বার্মা কলোনী পরিচালনা এডহক কমিটির অফিসে সরাসরি গেলে অফিস বন্ধ পাওয়া যায়। অফিসের দায়িত্বে থাকা এক সদস্য বলেন সভাপতি ও সেক্রেটারী এ বিষয়ে বিস্তারিত জানেন।
বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি ওসমান গনি জানান, আগে থেকে বিক্রি হচ্ছে এই সরকারী জায়গা। গোপনে জায়গা বিক্রি হয়ে যায়। আমরা এসব জানিও না। আমরা বাড়ি ও জমি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। কিন্তু দখলদাররা বন্ধক দিলে সেখানে তো কিছু করার থাকেনা।
শীঘ্রই পরিদর্শন ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হুছাইন মুহাম্মদ।
শীঘ্রই সরকারী জায়গা বিক্রয় করা চক্রটিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান বার্মা কলোনির বাসিন্দারা।
ভিডিও: