২৪ অক্টোবর ২০২৫

সুনীল অর্থনীতির জোয়ারে যেন সমুদ্র দূষণে ভরে না যায়— ইয়াফেস ওসমান

বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেসওসমান বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমুদ্র বিজয় সম্ভব হয়েছে। বিশাল এ সমুদ্রকে ঘিরে উন্মোচিত হবে সুনীল অর্থনীতির দ্বার। তবে, সবার খেয়াল রাখা দরকার ব্লু-ইকোনমির জোয়ারে যেন সমুদ্রকে দূষণ না করি।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকালে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) হলরুমে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ব্লু-ইকোনমির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ির পেঁচারদ্বীপে ৪০ একর জমিতে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয় ৬ বছর আগে। এ প্রতিষ্ঠান সমুদ্র সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সমুদ্রের বিপুল সম্পদ রক্ষার মাধমে এই সম্পদ ভোগ করতে পারবে এদেশের মানুষ।

মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ কিভাবে এসেছে তা ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলে ২১টি বছর। বঙ্গবন্ধুকে স্ব পরিবারে হত্যার পর সেই ২১ বছর নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গ দেশকে আবারও পাকিস্তানে রূপ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর স্ব গৌরবে দেশ উন্নয়নে এগুচ্ছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেসের মতে, দেশের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত করতে একটি মহল দেশের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে বলে প্রচারণা চালায়। এটা ঠিক নয়, যারা ভালোবাসতে জানে, তারা কঠোরও হতে জানে। আমাদের তরুণরা উদাহরণ তৈরি করবে। সমুদ্র গবেষণায় তরুণ বিজ্ঞানীদের সমন্বয় ঘটেছে। এভারেস্টে বাংলাদেশের দুই তরুণ-তরুণী পতাকা উড়িয়েছে। সমুদ্র সম্পদের সফল ব্যবহার নিশ্চিত করে তরুণ বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের বুকে চূড়ান্ত বিজয় নিশানা উড়াবে।

বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বায়োলজিক্যাল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সীমা রানীর সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাসিবুল ইসলাম।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বোরি’র অতিরিক্তে দায়িত্ব প্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. মঈনুল ইসলাম তিতাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জেলা সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না, বোরি’র জেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ, মো. জাকারিয়া, রূপক লোধ, নৌবাহিনীর নাবিক ক্যাপ্টেন মিনারুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে প্রকৃতি ও উন্নয়ন নিয়ে একটি কনফারেন্স হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব সমুদ্র দিবস।

আরও পড়ুন