চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) রাতে নগরের কোতোয়ালী ও চকবাজার থানা এলাকায় মামলা দুটি করা হয়। এ ঘটনায় নগর ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাকে অস্ত্রসহ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে, বুধবার নগরের কাজির দেউড়ি মোড়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় তারুণ্যের সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অভিযোগ উঠেছে, সমাবেশে যাওয়ার সময় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, ছবি ভাঙচুর করেন। এর আগে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেন, ‘নগরের কোতোয়ালি থানাধীন জামালখান মোড়ে দেয়ালে অঙ্কিত বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্থিরচিত্র সংবলিত ট্যাম্পার্ড, গ্লাস, মুর্যাল ভাঙচুরের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়। এ ঘটনায় ৭৮ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কলেজ গেটে নাশকতার ঘটনায় চকবাজার থানায় আরেকটি মামলা করা হয়। এ মামলায় ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়।’
নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, কোতোয়ালি থানার মামলায় নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নওসাদ আল জাসেদুর রহমান নশুকে (৩২) একটি একনলা বন্দুকসহ গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরের চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভী পুকুরপাড় এলাকার নুরুর চায়ের দোকানের সামনে সড়ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৩টায় কোতোয়ালি থানাধীন গোয়ালপাড়া সড়কের অফিসার্স ক্লাবের পশ্চিম পাশে একটি ক্লিনিকের সামনের ঝোপ থেকে একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়।
সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা এডিসি স্পিনা রানী প্রমাণিক বলেন, ‘দুই মামলায় বুধবার রাতভর অভিযানে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নগরের কোতোয়ালী, বাকলিয়া, চান্দগাঁও ও চকবাজার থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।’













