৪ নভেম্বর ২০২৫

বোয়ালখালীতে কুরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত খামারিরা

আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার খামার মালিক ও কৃষকেরা। খামারে ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে লালন করা গবাদিপশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত তাঁরা। খামার থেকেই কোরবানির পশু বিক্রি করা হবে বলে খামার মালিকরা জানিয়েছেন। এছাড়া মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে গরু বিক্রির জন্য আনছেন। এ বছর বোয়ালখালী উপজেলা ১০টি হাটে গরু বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভূষণ দাশ।

তিনি বলেন, বোয়ালখালীতে এবার কোরবানির জন্য গবাদি পশু উৎপাদন হয়েছে ৪৭ হাজার ১শত ৭৬টি। এরমধ্যে গরু ২৭ হাজার ৬শত ৩৮টি, মহিষ ৬হাজার ৪৯টি ও ছাগল-ভেড়া ১৩ হাজার ৪শত ৮৯টি। বোয়ালখালীতে চাহিদা রয়েছে ৩৭ হাজার ২শত ৩৮টি। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার গবাদিপশু বাড়তি উৎপাদন করেছেন খামারিরা। উপজেলায় ৫১২জন খামারি রয়েছেন। এরমধ্যে সর্বোচ্চ গবাদি পশু উৎপাদন করেছে ম্যাপ ফার্মিং লিমিটেড, বেঙ্গুরা পঞ্চমা এগ্রো ও তাজওয়ার ক্যাটেল রাঞ্চ ডেইরী ফার্ম। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে এবছর উপজেলায় ৮৭৫ জনকে গবাদি পশু নিরাপদ হৃষ্ট-পুষ্টকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কোরবানি দাতাদের সুস্থ পশু সংগ্রহে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। হাতুরে পশু চিকিৎসকের প্রতারণা থেকে সাবধান থাকার খামারিদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

বোয়ালখালীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি কোরবানির গবাদিপশু উৎপাদন হয়েছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, গবাদিপশুর মূল খাদ্য হচ্ছে কাঁচা ঘাস। এ বছর বোয়ালখালীতে কাঁচা ঘাস চাষের জন্য ১০জন খামারিকে ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর ফলে অন্যান্য গো-খাদ্য তুলনা মূলকভাবে কম কিনতে হয় খামারিদের। এতে আর্থিক খরচ কমে আসে অনেকাংশে।

শুক্রবার (১৬ জুন) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে , বোয়ালখালীতে খামারিদের পাশাপাশি মৌসুমী ব্যবসায়ী রয়েছেন প্রায় ৩৫- ৪০ জন। তারাও কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে গরু নিয়ে আসছেন।

সারোয়াতলী খিতাপচর গ্রামের হক এগ্রো ফার্মের স্বত্ত্বাধিকারী মিনারুল হক মিন্টু জানান, তিনি এ বছর ছোট ও মাঝারি সাইজের দেশিয় ২৫টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। প্রতিটি গরু ৫৬ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন। বাজার ভালো থাকলে লাভের আশা করছেন তিনি।

এবার কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য নিজস্ব খামারে ২৮ টি গরু প্রস্তুত করেছেন কানুনগোপাড়া সড়কের জোটপুকুর পাড় বটতল এলাকার মদিনা এ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মো. আবু তৈয়ব।

তিনি জানান, একেকটি গরু ১-৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন। তবে গো-খাদ্যের দাম বাড়তি হওয়ায় খরচ বেশি হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ