বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে থাকা রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা ইয়াকুব হোসেন মাসুদকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মাসুদ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ছদ্মবেশে একাধিক পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে পালিয়েছিল এবং সম্প্রতি সে দেশে এসে তার স্ত্রী-সন্তানদের সাথে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তা নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল আমিন। তিনি জানান, গ্রেফতার ইয়াকুব হোসেন মাসুদের বিরুদ্ধে ৬টি সিআর মামলার বিভিন্ন মেয়াদে সাজাসহ আরো তিনটি সিআর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল।
ওসি জানান, আসামি ইয়াকুব হোসেন মাসুদ ঢাকায় একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। যার প্রেক্ষিতে আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন আদালতে চেক জালিয়াতির একাধিক মামলা হয় এবং বিচার শেষে বিজ্ঞ আদালত ৬টি সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
তথ্য প্রযুক্তি এবং জেলা সাইবার ইউনিটের সহায়তায় জানা যায়, ধূর্ত আসামি পরোয়ানা জারির পর আত্মগোপনে থাকিয়া কৌশলে প্রায় ১০ বৎসর পুর্বে বিদেশে (দুবাই) পালিয়ে যায়। মাঝে মধ্যে বিদেশ থেকে দেশে আসা-যাওয়া করে এবং বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করে একাধিক বার পাসপোর্ট গ্রহণ করে।
অনুসন্ধানে বিষয়টি জানার পর টিম কোতোয়ালি আসামির তিনটি পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্মনিবন্ধন কপি সংগ্রহ করে আসামিকে গ্রেফতার করার লক্ষ্যে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করা হয়। পুলিশ সুপার আসামির বিদেশ গমনা-গমনরোধসহ আটক এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন), ঢাকা বরাবরে অনুরোধ করেন। সেই প্রেক্ষিতে ২৩ জুন আসামি ইয়াকুব হোসাইন মাসুদ স্ব-পরিবারে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ আসামির বিদেশ গমনরোধ করে আটকপূর্বক টিম কোতোয়ালিকে অবহিত করেন। টিম কোতোয়ালি ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন হইতে আসামিকে উল্লেখিত পরোয়ানামুলে আসামিকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি জানান, আসামিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।












