পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। পাহাড়ের দুই ধরনের কাঁচা মরিচ থাকলেও পাহাড়ের ধানী মরিচের দামের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে সাধারণ মরিচের দাম। এতে বিপাকে পড়েছে সধারণ মানুষ। শুধু কাঁচা মরিচ নয় বেড়েছে বেগুন, ডিমসহ অনান্য কাঁচা সবজির দাম।
ক্রেতারা বলছেন হঠাৎ করে নিত্যদিনে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রের দাম এভাবে বেড়ে গেলে নানা সমস্যা সম্মুখীন হয় সাধারণ মানুষ। তবে শহর বাজারে কমেছে লেবুর দাম। যা বাজার গুলোতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের দাম ছিল প্রতি কেজি ১শ থেকে ১শ ৫০ টাকা, ধানী মরিচের দাম ছিল প্রতি কেজি ২শ থেকে ২শ ৫০ টাকা। এছাড়াও বেগুন ৪০, টমেটো ৮০- ১৩০, শসা ৫০, দেশি আলু ৬০, ললিতা ৫০, ডিম প্রতি ডজন ১৩৮ টাকা।
বর্তমানে বান্দরবান মুরগী বাজারের ব্রয়লারে দাম প্রতি কেজি ১৮০, সোনালী কক ২৭০, লেয়ার ৩৭০ ও দেশী মুরগী প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৭০-৫৮০ টাকা। তবে দেশী মুরগী কিছুটা কমে যাওয়া আশঙ্কা রয়েছে। লেবুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি ডজন লেবুর দাম ৩০-৩৫ টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান শহর কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, মগ বাজারসহ অনান্য বাজারগুলোতে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচের দাম। সকালে পাইকারি দামে ৪৫০ টাকা কাঁচা মরিচ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। পরে বাজার গুলোতে চড়া দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। তাছাড়া পাহাড়ের ধানী মরিচের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হলেও সেই মরিচের চেয়ে আরো দ্বিগুন বেড়েছে সাধারণ কাঁচা মরিচের দাম। যেটি স্থানীয় বাজারের কম দেখা মিলেছে। এদিকে কাঁচা মরিচের এমন আকাশচুম্বী দাম শুনে মুখ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকেই বলছেন নিত্যপণ্যের এমন দাম বেড়ে গেলে বিকল্প হিসেবে রান্না করতে হয় গুড়া মরিচ দিয়ে।
বান্দরবান কাঁচা ও মগ বাজারের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল মান্নান ও রহিম মোল্লাহ সাথে কথা হলে তারা জানান, সকালে পাইকারি মূল্যে কাঁচা মরিচ কিনেছি প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা। যেটি বাজারের খুচরা ভাবে বিক্রি করতে হয় ৪৭০- ৪৫০ টাকা। তাছাড়া মরিচ কেরিং খরচ, গাড়ি ভাড়া আনুষঙ্গিক সব খরচ মিলে লাভ থাকে না।
বাজার করতে আসা সুবর্ণ দাশসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, হঠাৎ করে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিনতে পারছিনা। রান্না করতে গেলে মরিচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কাঁচা মরিচব দাম শুনে অনেকেই শুকনো মরিচ কিনে বাড়ি ফিরছেন। শুধু কাচা মরিচ নয় প্রত্যেক জিনিস দাম বাড়তি। বাজার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে নানা সমস্য সম্মুখীন হতে হবে বলে জানান তারা।
বান্দরবান কাঁচা বাজার সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাশ বলেন, বান্দরবানে কোন সিন্ডিগেট নেই। ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিন্ডিকেট তৈরী হওয়ার ফলে জিনিস পত্রের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। তবে আমরা আশা করছি দ্রুত সরবরাহ বেড়ে গেলে কাঁচা মরিচসহ অনান্য জিনিস পত্রের দামও কমে যাবে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তীবরীজি বলেন, ঈদের আগে বাজারগুলোতে মনিটরিং করা হয়েছে। ঈদের পর জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রত্যেক বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।













