নয় বছর বয়সী প্রথমশ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত রুবেল (৩২) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি, আসামীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট আবছার আলীসহ অন্যান্য আইনজীবিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আদালত আসামী মো: রুবেলকে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(১) ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অতিরিক্ত ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করে বলেন, আসামীকে রায় ঘোষণার ৯০দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ বিধি মোতাবেক জমাদানের নির্দেশ প্রদান করা হলো। জরিমানার অর্থ এই মামলার শিশু ভিকটিম ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রাপ্ত হবেন।
বিচারক রায় ঘোষণার পূর্বে মামলার সারমর্ম তুলে ধরে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপিত মৌখিক সাক্ষ্য দালিলিক সাক্ষ্য ও ফরেনসিক সাক্ষ্য দ্বারা ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট সকাল অনুমান ১১ টার সময় লংগদু থানাধীন ৪নং গাউছপুর ফরেষ্ট অফিস আগরবাগান সংলগ্ন জঙ্গলে আসামী মো: রুবেল কর্তৃক ৯ বছর বয়সী শিশু ভিকটিমকে ধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
এসময় আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ধর্ষকের সাথে ধর্ষণের শিকার ভিকটিমের বিবাহের সুযোগ প্রদান করা হলে সমাজে অপরাধীরা অর্থ ও প্রভাবের বিনিময়ে অপরাধ করে পার পেয়ে যাবেন বিধায় আসামীর উক্ত যুক্তি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
আসামীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট আবছার আলী আদালতের এই রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের ব্যাপারটি স্পষ্ট নয়, তারপরও আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম, বিজ্ঞ আদালত আজ আমাদের সেই আবেদনটি অস্বীকার করেছেন। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো এবং আশা করছি সেখান থেকে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।












