সাগর পাড়ের সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গ্যালারি ভর্তি দর্শক না হলেও গ্যালারির চারদিকে দর্শকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কখনো রোদ কখনো বৃষ্টি। মাঠ কর্মীদের সাথে মাঠের দর্শকেরও ছোটাছুটি। রোদ বৃষ্টির এই খেলায় মাঠে ঠিকই ঘুরেছে আফগানদের স্পিন।
আফগানদের স্পিন আক্রমনের পাশাপাশি পেস আক্রমণকেও খাটো করে দেখেননি টাইগার কাপ্তান তামিম ইকবাল খান। ম্যাচের আগের দিনে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেছিলেন এর আগের সিরিজে আফগানদের পেস আক্রমণ ছিলো অনেক বেশী ভয়ানক। সাগরিকায় মুজিব, রশিদ, নবীদের স্পিন ঘুরবে কিনা এই নিয়ে হয়েছে নানা আলোচনা।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আকাশে মেঘ ভেদ করে সূর্য হেসেছিলো তপ্ত ভাবে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল খান এবং লিটন কুমার দাশ আফগান পেসার ফজল হক ফারুকীকে সামাল দিতে হয়েছিলো। নিজের ১৩ রানের ইনিংসে দুই বাউন্ডারি হাকাঁলেও সে ফজল হক ফারুকীর কাছে ধরাশায়ী তামিম। কথায় বলে যেখান বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়। তামিমের বেলায় ঠিক যেন তাই, আফগানদের পেস আক্রমণের কাছে বিধ্বংস তামিম। এরপর ঠিকঠাক মতো ঘুরেছে আফগনাদের স্পিন। মুজিব বলে ফিরে যান লিটন তারপর নবীর বলে ফিরেন নাজমুল হাসান শান্ত। মাঝখানে পেসার আজমত উল্ল্যাহ এসে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান সাকিব আল হাসানকে।
খানিকবাদে আবারো শুরু হয় আফগানদের স্পিন তান্ডব। রশিদ খানের স্পিন ঘূর্ণিতে ফিরে যেতে মুশফিক এবং বহুদিন পর দলে ফেরা আফিফ হোসেনকে। তখন বাংলাদেশের রান মাত্র ১২৮, সে সাথে নেই ৬ উইকেট।এরপর আশা ভরসা নিয়ে মাঠে নামলেও মেহেদী মিরাজ ফিরে যান ফজল ফারুকীর বলে। মাঝখানে পেসারদের ব্রেকথ্রুর পাশাপাশি চলছে আফগান স্পিনারদের তান্ডব। এরপর মুজিবের বলে লেইগ বি ফর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তাসকিন আহমেদ।
আফগান বোলিং এটাকের সামনে একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন তাওহীদ হৃদয়। ফারুকীর বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার আগে সংগ্রহ করেছেন ৬৯ বলে বল ৫১ রান। আফগান স্পিনারদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা বাংলার সামনে পেসারদারদের দাপটও ছিলো দেখার মতো। আফগানদের হয়ে রসিদ খান,মুজিবর রহমান ও মোহাম্মদ নবী মিলে শিকার করেছন ৫ টি উইকেট। ফজল হক ফারুকী নিয়েছেন তিনটি এবং আজমতউল্ল্যাহ শিকার করেছেন একটি। বৃষ্টির কারণে ৪৩ ওভারের খেলায় বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬৯ রান। তবে শেষমেষ মাঠে টিকে ছিলেন হাসান আর মোস্তাফিজুর। আর বৃষ্টি আইনে আফগানিস্তানের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ১৬৪ রান।













