চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একদিনেই সম্পূর্ণ অস্ত্রপচার বিহীন নরমাল ডেলিভারিতে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করেছেন ১৯ জন প্রসূতি মা। শনিবার (৮ জুন) প্রসূতি ওইসব মায়েরা ১০ জন পুত্র ও ৯ জন কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। বর্তমানে সকল প্রসুতি ও বাচ্চারা সম্পূর্ন সুস্হ আছেন।
প্রায় প্রতিদিনই কোনপ্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়াই সীতাকুণ্ড উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্ম নিচ্ছে আনুমানিক ৫ থেকে ৮ জন নবজাতক। অস্ত্রোপচার ছাড়া এতোজন নবজাতকের জন্ম দৃষ্টি কাটছে অনেকেরই।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুর উদ্দিন বলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৯ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। এসব এলাকার প্রসূতি মায়েদের একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রসব স্হান সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে প্রসূতিদের কোন অস্ত্রোপচার করা হয়না। সম্পূর্ণ নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে আমরা বাচ্চা প্রসব করিয়ে থাকি। আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৮ জন প্রসূতির স্বাভাবিক প্রসব হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ৮ জুন শনিবার ঘটেছে খানিকটা ব্যতিক্রম ঘটনা, একদিনেই ডেলিভারী হয়েছে ১৯ জন প্রসুতির, তাও আবার কোনো প্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়াই। যা আমাদের হাসপাতালের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যার ডেলিভারী।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাহিদা আক্তারের তত্ত্বাবধানে ডাঃ সালা উদ্দিন, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স মায়ারাণী, উপসহকারী মেডিকেল অফিসার শিরিন আক্তার, মিডওয়াইফ মিসেস রাফীন, হাসপাতালের প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ধাত্রী সহ কর্মরত স্টাফদের সহযোগীতায় এসব ডেলিভারি সম্পন্ন হয়।
একদিনে ১৯ জন স্বাভাবিক প্রসব হওয়ার খবর চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকও চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন এবং সকল প্রসুতি মায়ের সাথে কথা বলেন ও তাদের স্বস্থ্যের খোঁজখবর নেন।
ডা. নুর উদ্দিন আরও বলেন, যারা ভূল করে নগরীর ক্লিনিকগুলোতে নিয়ে যায় তাদের বেশীর ৯৫ ভাগই সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারী হয়ে থাকে। আমরা প্রচার করছি সীতাকুণ্ড স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসুতি নিয়ে আসতে। তাই হাসপাতালে দিন দিন প্রসূতির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে অন্যান্য চিকিৎসার মানও অনেক ভাল। প্রতিটি রোগীকে যত্ন সহকারে চিকিৎসা দিয়ে আসছে আমাদের চিকিৎসকরা।
