৩ নভেম্বর ২০২৫

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন পরীমণি

সাভারের বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণির দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে যান পরীমণি। সোমবার (২৪ জুলাই) বেলা ১টা ১৫ মিনিট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর এজলাসে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে একপর্যায়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন পরীমণি।

এমন পরিস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শহীদ হোসেন বিচারকের উদ্দেশে বলেন, এই জনাকীর্ণ আদালতে পরীমণি হয়তো সেদিনকার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে পারছেন না। আইনে এই ধরনের মামলায় ক্যামেরার ট্রায়ালের (রুদ্ধদ্বার এজলাসে বিচার) বিধান রয়েছে। এসময় পরিস্থিতি বিবেচনায় পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ ক্যামেরা ট্রায়ালে হবে বলে জানান আদালত।

আদালতে এসময় বিচারক পরীমণি উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি যদি মনে করেন, ক্যামেরা ট্রায়ালে সব ঘটনা খুলে বলবেন, তাহলে অবশ্যই মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে হবে। আপনার সাক্ষ্যগ্রহণকালে আপনার আইনজীবী ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আর কেউ সেখানে থাকবেন না। আপনি কি ক্যামেরা ট্রায়ালে সাক্ষ্য দিতে চান?’

তখন পরীমণি বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, সেদিনকার ঘটনা মনে পড়লে আমি আজও ট্রমাটাইজ (মানসিক আঘাতগ্রস্ত) হয়ে যাই’এ কথা বলে আবার কাঁদতে থাকেন পরীমণি। তখন তার আইনজীবী মুজিবর রহমান বলেন, ‘মাননীয় আদালত, পরীমণি ক্যামেরা ট্রায়ালে সব ঘটনা খুলে বলবেন।’ পরীমণিও বলেন, ‘মাননীয় আদালত, ক্যামেরা ট্রায়ালে আমি সাক্ষ্য দেব।’

পরে বিচারক ক্যামেরা ট্রায়ালে বিচার হবে বলে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করে এজলাস ত্যাগ করেন ।

এ সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী। মামলার অপর আসামি শাহ শহিদুল আলমের পক্ষে তার আইনজীবী আদালতে ছিলেন। শহিদুল আদালতে আসতে না পারায় তার পক্ষে সময় চাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ জুন সাভার থানায় পরীমণি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসির, তুহিন ও শহিদুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। গত বছরের ১৮ মে তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। তখন নাসিরসহ তিন আসামি নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

আরও পড়ুন