বাংলাধারা প্রতিবেদন »
আজ শনিবার (১৫ জুন) আষাড় মাসের প্রথম দিন। কালো মেঘে নগরীর আকাশ ঢেকে সকালেই জানান দিয়েছিল প্রকৃতি। দুপুর গড়াতেই নামে ঝুম বৃষ্টি। সাথে দিয়ে গেল বর্ষায় নগরবাসীর মহা জল-দুর্ভোগের বার্তা।
এক ঘন্টারও কম সময় স্থায়ী বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায়। সড়কের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার বাসা-দোকানেও ঢুকে পড়ে পানি। ময়লা-আবর্জনায় নালা-নর্দমা আটকে থাকায় বিভিন্ন উঁচু এলাকার সড়কেও পানি জমে যায় বৃষ্টির পানি। এমনকি পানি জমে যায় নগরীর উড়াল-সড়কগুলোতেও।
অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায় নগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ জানান দুপুর পৌনে ২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ঘন্টায় ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যায়। এসময় মাঝারি বৃষ্টিপাতও হয়, যা প্রায় ৪০ মিনিট স্থায়ী ছিল।
আর এই ৪০ মিনিটের বৃষ্টিতেই নগরীর বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে। নগরীর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খালগুলো ভরে যাওয়া ও ছোট-বড় নালাগুলোর আবর্জনা অপসারণ না করায় সামান্য বৃষ্টিতেও এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
বৃষ্টিতে নগরীর দুই নম্বর গেইট থেকে মুরাদপুরের দিকে সড়কের দুইপাশ এবং জিইসি মোড়ের দিকে সড়কের বড় অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া নগরীর ওয়ারল্যাস গেইট এলাকায়ও নালা উপচে হাঁটু পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এমনকি আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারের উপরেও পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে নগরীর প্রবর্তক মোড় এলাকা। শুলকবহর, কাতালগঞ্জ এলাকায় বিভিন্ন অলিগলিতেও হাঁটু পানি মাড়িয়ে পথ চলতে দেখা গেছে সেখানকার বাসিন্দাদের। এছাড়া বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, চকবাজার, কাপাসগোলা, পশ্চিম বাকলিয়া এলাকায় জলাবদ্ধতার জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে।

জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর ভোগান্তির বিষয়টি শ্বিকার করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, কয়েকটি এলাকার নালায় পানি জমে গেছে। সেগুলো উপচে রাস্তায় আসছে। মুরাদপুর-প্রবর্তকের মতো নিচু এলাকাগুলোতে পানি আছে জমে গেছে।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে এবার আমরা শুধু ছোট ছোট নালা সংস্কার ও ময়লা অপসারণ করেছি। বড় নালাগুলো জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় পরিস্কার করার কথা রয়েছে।
তিনি দাবি করেন, তবে বড় নালা ও খালগুলোতে আবর্জনা আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর













