৪ নভেম্বর ২০২৫

সর্বজনীন পেনশন ফান্ডে একদিনে জমা ৮৭ লাখ টাকা

সর্বজনীন পেনশন উদ্বোধনের পর প্রথম দিনে অনলাইনের মাধ্যমে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন এক হাজার ৬৬৬ জন। আর এ থেকে পেনশন ফান্ডে জমা হয়েছে ৮৭ লাখ টাকার বেশি পরিমাণ অর্থ। এ ছাড়া নিবন্ধনের জন্য ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন ১১ হাজারের বেশি গ্রাহক।

এদিকে জানা গেছে, পেনশন তহবিলের সঠিক ব্যবহার ও বিনিয়োগে খুব শিগগিরই ‘পেনশন ফান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি’ গঠন করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্রগুলো বলছে, ‘পেনশন ফান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি’ দেশের লাভজনক বড় বড় অবকাঠামোতে পেনশন তহবিলের টাকা বিনিয়োগ করবে। এতে করে পেনশনাররা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে।

জানা গেছে, আপাতত শুধু সোনালী ব্যাংকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের হিসাব খোলা হয়েছে। কেউ চাইলে সরাসরি সোনালী ব্যাংকে গিয়েও নিবন্ধন করতে পারবেন ও চাঁদা দিতে পারবেন। তবে শিগগিরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কম্পিউটার সার্ভিসের দোকানগুলোতেও পেনশন আবেদনের নিবন্ধন ফরম পূরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে। এছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পেনশন স্কিমে নাম নিবন্ধন করতে পারবেন একজন গ্রাহক।

এ বিষয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বাস্তবায়নকারী সংস্থা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা জানান, পেনশন স্কিম নিয়ে যে দেশের নাগরিকরা যে আশাবাদী তা প্রথম দিনের সাড়া দেখেই বোঝা যাচ্ছে। প্রথমদিন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১ হাজার ৬৬৬ জন গ্রাহক নাম নিবন্ধন করে ৮৭ লাখ টাকার বেশি জমা দিয়েছেন। দ্বিতীয় দিনের হিসাব বের করা হয়নি। মনে হচ্ছে শুক্রবার পর্যন্ত এ ফান্ডের টাকার পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, পেনশন স্কিমে সাধারণ গ্রাহকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন।

পেনশন কর্মসূচি বা স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন গ্রাহক। গ্রাহক মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের ৭৫ বছর বয়স হতে যত বছর বাকি থাকবে, সেই সময় পর্যন্ত নমিনি পেনশন তুলতে পারবেন। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।

৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও বিশেষ বিবেচনায় পেনশনভুক্ত হতে পারবেন। তবে আজীবন বা ন্যূনতম ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত পেনশন সুবিধা পেতে কমপক্ষে একাধারে ১০ বছর নির্দিষ্ট হারে চাঁদা পরিশোধ করতে হবে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ