৩ নভেম্বর ২০২৫

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন।

সোমবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‌‘বিএনপি, জামায়াত, জঙ্গি, বঙ্গবন্ধুর ঘাতক, বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি এই নেক্সাস রুখবে ঐক্যবদ্ধ তরুণ প্রজন্ম’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক জিনাত সোহানা চৌধুরী সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবুর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অনুপম সেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুপম সেন বলেন, বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভুমিকা রাখতে হবে,সরকারের বর্তমান উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রশংসনীয় ভুমিকা রাখছে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন।

আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমন্বয়ক জিনাত সোহানা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য, তার গোটা জীবন বিশ্লেষণ করলে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। পাহাড়সম প্রতিকূলতার মধ্যে দাঁড়িয়েও তিনি গরিব-দুঃখী ও শ্রমজীবী মানুষের কথা বলেছেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ তথা তার সোনার বাংলা গড়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন ও অধিকারের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তার কর্ম, নীতি, আদর্শ ও দর্শন বেঁচে থাকবে অনন্তকাল। তার উন্নয়ন দর্শনকে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।

এসময় সংসদ সদস্য নোমান আল আহমুদ বলেন, শোষণহীন সমাজ গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু এক সুদীর্ঘ সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সবসময় শোষণের বিরুদ্ধে, বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, রুখে দাঁড়িয়েছেন শোষকদের বিরুদ্ধে। শোষণকে তিনি দেখেছেন বঞ্চনার একটি শক্তিশালী খুঁটি হিসেবে, সাম্যের পরিপন্থী হিসেবে এবং মানবাধিকারের সঙ্গে সংগতিহীন হিসেবে।

সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সাগরের সমান বিশাল। তাকে নিয়ে এক দিনের আলোচনা যথেষ্ট নয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও জানার, তাকে বিশ্লেষণ করার সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত।’

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন প্রান্তজন অর্থাৎ সমাজে যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে ভাবনা, তাদের জন্য নানামুখী কর্মসূচি, তা আমাদেরও প্রতিটি কাজে প্রতিফলিত হওয়া উচিত যেন সমাজে সাম্য নিশ্চিত হয়। তিনি সবসময় সাম্যের কথা বলেছেন। তার কথা, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের পৌঁছে দিতে হবে পরের প্রজন্মের কাছে।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোঃ আপেল মাহমুদ, চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, বিজিএমইএ সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ হোসেন আহামদ, সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসনাত চৌধুরী, ফ্লোরিডা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ইমরান, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন নোবেল, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা সুফিউর রহমান টিপু, কাজী মোঃ আরিফ, মোঃ সাজিবুল ইসলাম সজিব, সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের জি এস মোঃ মাকসুদুর রহমান, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সাইফ, মোঃ সালাউদ্দিন, ইমরান মাহমুদ রনি, মোহ হায়দার, যুব নেতা সেলিম,রেজাউল করিম, মো: আশরাফ আলম, যুবায়ের হোসেন অভি, মোঃ সোয়েব, আকবর জুয়েল, সৈয়দ সুলতান ফাহিম, নুরুল ইসলাম রিয়াদ, ইফতেখার উদ্দিন ইফতি।

আরও পড়ুন