চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি কর্মীদের হামলায় মোহাম্মদ রুমন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে মিরসরাইয়ের আজমপুর বাজার এলাকায় স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হন তিনি। এছাড়া এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরো ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রুমন নামে এক ছাত্রলীগ নেতা তার মোবাইলে ভিডিও দৃশ্য ধারণ করায় সময় তাকে মেরে পানিতে ফেলে দেয় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।নিহত নাম. মোহাম্মদ রুমন (১৪) ওচমানপুর ইউনিয়নের পাতাকোট এলাকার নুরু জামানের ছেলে বলে জানা যায়।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিনুল ইসলাম স্বপন দাবি করেন, আগামী ৫ অক্টোবর তারিখের কর্মসূচির প্রস্তুতি হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। এসময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। অবশ্য স্বপন এও স্বীকার করেন পরক্ষণে বিএনপির ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরাও ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালায়। তবে নিহতের বিষয় তিনি অবগত নন।
অপরদিকে ওচমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ্ আলম বলেন, ‘বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারিরা স্থানীয় আজমপুর বাজারে আমাদের ছাত্রলীগ নেতা হাসান ও তার কয়েকজন সহযোদ্ধার ওপর হামলা চালায়।এতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় স্কুল ছাত্রলীগ কর্মী রুমনকে। এছাড়া প্রাণে বেঁচে যায় হাসানসহ আর ৫ ছাত্রলীগ কর্মী। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর।’
চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু বলেন, আগামী ৬ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে প্রস্তুত সভা চলছিলো মিরসরাইতে। সেখানে আমিও উপস্থিত হই। তবে সে প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে ওচমানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যখন আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় বিএনপি কর্মীরা। এই ঘটনায় আমাদের স্কুল ছাত্রলীগের একজন কর্মী নিহত হন। এছাড়া আহত হন ওচমানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাছান, আব্দুল আল মামুন, ছাত্রলীগ নেতা মাহুদুল আলম রাফি, মো. রিয়াদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা শহিদ খান দুখু। তাদের মধ্যে হাছানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি













