৫ নভেম্বর ২০২৫

কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্ঠা; আটক সুনীল চাকমা জেলে

জুমার নামাজের সময় অভিভাবকরা বাড়ির বাইরে থাকায় খালি ঘরে একা পেয়ে দরিদ্র পরিবারের বুদ্ধি প্রতিবন্ধি কিশোরীকে ধর্ষনের চেষ্ঠাকালে তার শৌরচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হাতেনাতে লম্পট সুনীল কুমার চাকমাকে আটক করে। এসময় টহলরত নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সুনীলকে কিশোরীর ঘর থেকে আটক করে।

জুরাছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ভিকটিম বাঙ্গালী কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে জুরাছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩)এর ১০ ধারায় দায়েরকৃত মামলা নাম্বার-১, তারিখ: ২৯/০৯/২০২৩ইং। আটককৃত সুনীল কুমার চাকমাকে শনিবার রাঙামাটির আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।

সুনীল কুমার চাকমা জুরাছড়ি উপজেলাধীন ৩নং মৈদং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কাঠালতলী এলাকার দয়াধন চাকমার ছেলে। সে পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বলে জানাগেছে।

মামলার এজাহারে ভিকটিমের পিতা উল্লেখ করেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর সোয়া বারোটার সময় আমার মেয়ে বাসায় রুমে বসে টিভি দেখছিলো, এসময় সুনীল কুমার চাকমা বাসায় প্রবেশ করে অভিভাবকরা কেউই বাসায় নেই জানতে পেরে আমার মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টা চালায়। এসময় আমার মেয়ের শৌরচিৎকারে আমিসহ স্থানীয় প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে হাতেনাতে সুনীল কুমার চাকমাকে ধরে ফেলি। এসময় আমাদের এলাকায় টহলরত নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা শৌরচিৎকারশুনে এগিয়ে এসে সুনীলকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

জুড়াছড়ি থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩)এর ২২ ধারা মোতাবেক ভিকটিমের জবানবন্দি ইতোমধ্যেই রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বাঙ্গালী কিশোরীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতসহ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার মূল হোতা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুনীল কুমার চাকমার কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ ও ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ