২৭ অক্টোবর ২০২৫

বদ্ধ ড্রেনে গিজগিজ করছে লার্ভা, পরিণত হচ্ছে মশায়

মশা একটি ছোট পতঙ্গ হলেও তরতাজা প্রাণ কেড়ে নিতে রাখছে বিধ্বংসী ভূমিকা। চট্টগ্রাম নগরীতে ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার প্রাদুর্ভাব নজিরবিহীনভাবে বৃদ্ধি পেলে মশা নিয়ন্ত্রণে চসিকের মশানিধন কর্মসূচি চলমান থাকলেও নগরীর গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকার রাস্থার পাশের নালা যেন মশার বীজতলা। বদ্ধ ড্রেনে জমে থাকা পানির উপরের স্তরে গিজগিজ করছে মশার লার্ভা। যেসব লার্ভা প্রতিনিয়তই রূপ নিচ্ছে পরিণত মশায়।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের মাজার গেট সংলগ্ন সড়কের পাশের প্রায় এক কিলোমিটার ড্রেনজুড়ে এসব দৃশ্যমান মশার লার্ভা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। আতঙ্কে রয়েছেন এ এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দারাসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ড্রেনটির বদ্ধ পানিতে দৃশ্যমান লার্ভায় ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, ড্রেনে ঠিকমতো পানি প্রবাহ না হওয়ায় পানি জমে আছে। আর সেই পানিতে গিজগিজ করছে লার্ভা ও মশা। এছাড়াও ড্রেনে জমে আছে আবর্জনার পাহাড়।

গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকার টং দোকানদার ইসমাইল হোসেন বলেন, সম্প্রতি মশার প্রাদুর্ভাব অনেক বেড়েছে, আশেপাশে সব সময় মশা উড়াউড়ি করছে। মশার কামড় খেয়েও পেটের দায়ে দোকানদারি করতে হচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কে আছি।

পথচারী আব্দুস সোবহান বলেন, এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করি। এখানে পানি চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় মশা বংশ বিস্তার করছে। এদিকে নগরজুড়ে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আমাদের আরও বেশি বেশি সচেতন হতে হবে।

এ এলাকার বাসিন্দা ইমাম আব্দুল হান্নান বলেন, এ এলাকায় অনেকগুলো আবাসিক ভবনে বসবাস করেন শত শত পরিবার। এডিস মশা বাড়ার কারণে সবাই ঝুঁকির মধ্যে আছে। এরই মধ্যে নালায় জমাট পানিতে মশার বংশবিস্তার এলাকাবাসীর জন্য আরও আতেঙ্কের। সিটি কর্পোরেশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা ড্রেন, নালা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে। কিন্তু তারা নিয়মিত এগুলো পরিষ্কার করেনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৫ নং বাগমনিরাম কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, এগুলো আমাদের মনিটরিংয়ে আছে, প্রতিনিয়ত আমাদের লোকজন গিয়ে মনিটরিং করে। যদি সেখানে জলাবদ্ধতা থাকে তাহলে অবশ্যই পরিষ্কার করা হবে, কালকেই আমাদের লোকজন যাবে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সিভিল সার্ভিসের তথ্যমতে চলতি বছরে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১২ হাজার। যার ভেতর মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। চলতি অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৯৫ জন।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ