১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

অবরোধে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে সীতাকুণ্ড

বিএনপি-জামায়াত ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডাকা হরতালের কর্মসূচির মধ্যে স্থবির হয়ে পড়েছে সীতাকুণ্ডের পর্যটন। দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া আবাসিক হোটেলগুলোতে অগ্রিম বুকিং দেয়া পর্যটকরা বুকিং বাতিল করছে। এসময় পর্যটকে মুখর থাকার কথা থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় হোটেল ও পর্যটন শিল্পের ব্যবসায় ধস নামার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পর্যটন ও হোটেল ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অবরোধের পূর্বে সচরাচর গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, সীতাকুণ্ড পাহাড়, ইকোপার্ক অন্যান্য পর্যটন স্পটে লোকে লোকারণ্য থাকলেও অবরোধের কারণে উল্টো চিত্র দেখা মেলে।

শুক্রবার পর্যটকরা জানান, টানা অবরোধের কারণে খুব আতঙ্কে আছি। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সুবিধাজনক নয়। এ পরিস্থিতিতে অবরোধ না থাকায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। কারণ মানুষের বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে।

সীতাকুণ্ড আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি খাইরুল বলেন, ‘টানা অবরোধের কারণে সীতাকুণ্ডের আবাসিক হোটেলে দূর-দূরান্তের পর্যটকরা আসছেন না। এতে প্রতিটি আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন ৩/৪ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। এর ফলে সীতাকুণ্ডের ১৯টি আবাসিক হোটেলের ৭০ জন কর্মচারীর বেতন দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হোটেল ব্যবসায়ীদের। এছাড়া দূর পাল্লার বাস চলাচল না করায় পর্যটন স্পটগুলো পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। মূলত সীতাকুণ্ড উপজেলার আশেপাশের এলাকার পর্যটকরা আসলেও তারা আবার সন্ধ্যায় ঘনিয়ে আসায় চলে যাচ্ছে।রাজনৈতিক দলগুলোর টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এভাবে চলতে থাকলে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হবে হোটেল ব্যবসায়ীরা।’

সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের দায়িত্বে থাকা জাফর বলেন, ‘টানা অবরোধের কারণে এখানে পর্যটক দেখা যাচ্ছে না।এতে আমরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত কমিটির সহ-সভাপতি মফিজুর বলেন, ‘হরতাল অবরোধ থাকলে পর্যটক কম দেখা যায়।’

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ