কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিলে হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় জ্বালিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১ জানুয়ারি) ভোর রাতে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে অফিস ছাড়াও একটি সার ও কীটনাশকের দোকানও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এদিকে খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে আগুনে পোড়া অফিস পরিদর্শনে যান হাতঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
সূত্র জানিয়েছে, চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খোজাখালী সিএনজি স্টেশন বাজারে কক্সবাজার-১ আসনে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা অফিস করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর রাতেও হাতঘড়ি প্রতীকের সমর্থকরা অফিসে বসে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যার যার বাসায় চলে যায়। নতুন বছর শুরুর রাতের কোন এক সময় অফিসে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন দেখে স্থানীয় লোকজন উপজেলার ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তার আগেই নির্বাচনী অফিস ও একটি সার এবং কীটনাশকের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে এতে হাতহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
দোকানের মালিক মোহাম্মদ আব্বাস (৩২) বলেন, ঐ সময় দোকানে ছিলাম না বলে বেঁচে রয়েছি। তবে কারা আগুন দিয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছিনা।
ক্ষতিগ্রস্ত আরেক দোকানি মো. বারেক সওদাগর বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। হাতঘড়ি প্রতিকের প্রতিপক্ষরা নাকি সমর্থকরা এ আগুন দিয়েছে বলতে পারছি না। যারাই আগুন দিক, দুর্বৃত্তের আগুনে আমাদের প্রায় সাতলাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বলতে গেলে নিঃস্ব হয়ে গেছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
এদিকে, বেলা বারোটার দিকে পুড়ে যাওয়া নিজের নির্বাচনী অফিস পরিদর্শনে যান কল্যাণ পার্টির প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানীদের নগদ ৪০ হাজার টাকা অনুদান দেন তিনি। নির্বাচনের পর দোকানঘরটি মেরামত করে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থী ইবরাহিম।
অফিস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মানুষ সন্ত্রাসী, দখলবাজ, চাঁদাবাজদের হাত থেকে মুক্ত হতে হাতঘড়ি প্রতীককে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এতেই মাথা নষ্ট হয়ে গেছে অপরাধীদের। তারা পরাজয়ের ভয়ে আমার নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়েছে। এ ঘটনায় আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবো। অফিস পুড়ানোর ঘটনায় ইতিমধ্যে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে আসার পর দায়িত্বশীল ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও তাকে নির্দেশনা দিয়েছি।












