এবার বিমানের মতো যাত্রীসেবা এলো ট্রেনেও। দেশে ট্রেনে যাত্রীসেবায় চালু হলো বিমানবালার মতো ট্রেনবালা। বিশেষ ড্রেস পরিহিত এই বালারা যাত্রার শুরুতে দেন বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা। পুরো পথেই যাত্রীদের যেকোনো সমস্যায় দ্রুত ছুটে আসেন। এছাড়াও সেবা দিয়ে থাকেন সাধ্যমতো। রেলওয়ের ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘ট্রেন স্টুয়ার্ড’।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রীসেবায় ট্রেনবালা (ট্রেন স্টুয়ার্ড) যুক্ত হওয়ার পর এবার সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনেও ট্রেনবালা যুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটিতে ১২ জন নারী স্টুয়ার্ড ছিলেন। গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়া ট্রেনেও ছিলেন নারী স্টুয়ার্ড। দৃষ্টিনন্দন ড্রেস পরিহিত এসব নারীরা ট্রেন যাত্রীদের সেবা দেন আন্তরিকতার সঙ্গে।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাটারিং-অনবোর্ড সার্ভিস প্রোভাইডার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে নারী স্টুয়ার্ডদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এখন তাদেরকে একের পর একে আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে এখন বিমানের মতো ট্রেনেও নারী সেবক যুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব আন্তঃনগর ট্রেনে নারীদের যুক্ত করা হবে। এই ট্রেনে যাওয়া-আসা মিলিয়ে ৫০ জন নারী স্টুয়ার্ড সেবা দিচ্ছেন।’
এর আগে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে দেয়া এক বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘নারী-শিশুসহ যাত্রীসেবা উন্নয়নে নারী সেবকেরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বিষয়টি লক্ষ্য রেখেই নারী সেবক নিয়োগ দিচ্ছি। দক্ষ, চটপটে, স্মার্ট— এসব নারী সাধারণ যাত্রীদের কাছে ‘ট্রেনবালা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। শুধু কক্সবাজার রুটে নয়, বিরতিহীন সব কটি ট্রেনেই এই সেবা নিশ্চিত করা হবে।’













