বাংলাধারা প্রতিনিধি: হলুদে হলুদে ছেয়ে গেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারার বিস্তীর্ণ মাঠ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ১৮২ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে করা হয়েছে সরিষার আবাদ। আনোয়ার উপকূলীয় অঞ্চল বারশত, রায়পুর, পরৈকোড়া, হাইলধর এবং চাতরী ইউনিয়ন এলাকায় তুলনামূলক বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা।
এদিকে আনোয়ারা উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে সরিষা চাষ করে আশানুরূপ সাফল্য লাভে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আনোয়ারা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। মাঠপর্যায়ে সরিষা ক্ষেত তদারকিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ইউনিয়ন কৃষি অফিসের কর্মকর্তারাও।
সরেজমিন গেলে দেখা যায়, উপজেলার পারকি সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন বারশত ইউনিয়নের পশ্চিম তুলাতলী মৌজায় ১০ বিঘা কৃষি জমিতে আব্দুল ওয়াহেদ শাহ, আব্দুল মজিদ, মোহাম্মদ নুর, হেলাল উদ্দীন, আলমগীর, মোঃ মিনহাজ, অলি আহমদ সরিষা চাষ করেছেন। তারা জানান, গতবারের চেয়েও এবার আরও বেশি জমিতে চাষ করা হয়েছে।
চাষাবাদের পরিমাণ বাড়লেও সরিষা বীজ ঘরে তুলে এনে ভাঙার মেশিন না থাকায় কম দামে বিক্রি করতে হয় বলে জানান কৃষকরা। ভালো দাম পেতে মেশিনের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতাও কামনা করেন তারা।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী হায়দার বলেন, আনোয়ারা উপজেলায় এবছর ১৮২ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে যা গতবছরের দ্বিগুণ। এবছর বারি ১৪, বারি ১৫, বারি ১৭, বারি ১৮, বিনা ০৪, বিনা ০৯ ও বিনা ১১ জাতের সরিষা আবাদ হয়েছে। এভাবে সরিষা আবাদ ক্রমাগত বৃদ্ধির মাধ্যমে তেল উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আমদানী কমানোর মাধ্যমে বিদেশী মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রণোদনা ও বিভিন্ন প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় এনে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কৃষকদের বীজ ও সার বিতরণ এবং পরামর্শ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার মাধ্যমে আমরা সরিষার আবাদ বৃদ্ধি কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করে যাচ্ছি