চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিবচতুর্দশী মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর হাজার হাজার তীর্থ যাত্রী এখানে ছুটে আসেন। এতে দেশ বিদেশের দূর-দূরান্তের যাত্রীরা বাস, মাইক্রোবাস ও কেউ কেউ নিজস্ব বাহনে চড়ে আসেন। যার ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বাসের পার্কিংয়ের ব্যবস্থার দায়িত্ব পালন করেন ইজারাদাররা। কিন্তু যারা পার্কিংয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বাসের চালক-হেলপাররা। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টি কমিটিকে অবহিত করলে মেলা কমিটি মাইকিং করে তাদের সতর্ক করে দেন।
জানতে চাইলে বাস চালকরা বাংলাধারাকে বলেন, ‘নির্ধারিত পার্কিং চার্জের চেয়ে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। মাইক্রোবাস ও বাস ১ দিন থাকলে যে পরিমাণ টাকা নিচ্ছে আবার ২ দিন থাকলেও একি পরিমাণ টাকা নিচ্ছে। আবার কোন কোন চালক থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছেন। বাসে ১ হাজার টাকার চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় করছে। তাছাড়া অন্যান্য মাইক্রোবাসে ৫শ টাকা দাবি করছে।’
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বাংলাধারাকে বলেন, ‘শিবচতুর্দশী মেলায় আসা পরিবহনের পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত তালিকা রয়েছে। সেখানে বাস প্রতি ৩৫০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। কেউ যদি বাড়তি টাকা আদায় করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। যারা বাড়তি টাকা নিচ্ছে তারা দুর্বৃত্ত। এসব দুর্বৃত্তদের বিচার চাই।’
শিবচতুর্দশী মেলায় আসা পরিবহন থেকে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্রাইন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন দাস বাংলাধারাকে বলেন, ‘পার্কিংয়ের বিষয়টি আমাদের নয়। এটা পৌরসভার আওতাধীন। সুতরাং স্রাইন কমিটি এখান থেকে কোন টাকা নেয় না।তাছাড়া দায়িত্বে থাকা ইজারাদার কর্তৃপক্ষকে কম নেয়ার কথা বললেও আমাদের কথা কানে নেয়নি।’ তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন বাংলাধারাকে বলেন, ‘পার্কিংয়ের বিষয়টি ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ও মেয়রকে জানান। এসব আমার বিষয় নয়।’
সীতাকুণ্ড থানার টিআই (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) আশরাফ বলেন, ‘ইজারা নিয়েছে পৌরসভা, পার্কিংয়ের চাঁদা আদায় করছে ইজারাদাররা। অভিযোগ পেলে আইনের আওতায় আনা হবে।’
পার্কিংয়ে নির্ধারিত চাঁদার বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি জানতে ইজারাদারের দায়িত্বে থাকা সবুজের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।