২৪ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে ফলভর্তি কনটেইনার, আমদানিকারকদের চিঠি

ডলার সংকটের মাঝে চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত আমদানি সত্বেও বাজারে কোনোভাবেই ফলের দাম কমছে না। রোজা শুরু হওয়ার সাথে সাথে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির সুযোগে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এসব বিদেশি ফলের দাম। রমজানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দাম বাড়াতে ১ হাজার কনটেইনার ভর্তি ৪০ হাজার মেট্রিক টন আপেল-কমলা-মাল্টা এবং আঙুর চট্টগ্রাম বন্দরে ফেলে রেখেছেন আমদানিকারকরা। রেফার কনটেইনারে আনা এসব ফল দ্রুত ডেলিভারি নিতে আমদানিকারকদের চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থ বছরের গত আট মাসে ১ লাখ ৪ হাজার মেট্রিক টন আপেল, ৫৮ হাজার ২৫৮ মেট্রিক টন কমলা, ৫৫ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন মাল্টা এবং ২৯ হাজার ৪৭০ মেট্রিক টন আঙ্গুর আমদানি হয়েছে। দেশীয় কমলার স্বাদ ভালো হওয়ায় বিদেশি কমলা কিছুটা আমদানি কম হলেও বাকি অন্যান্য ফল আমদানি হয়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ডলার সংকট সত্বেও আট মাসে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার আড়াই লাখ মেট্রিক টন ফল আমদানি হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ কমিশনার কাজী ইরাজ ইশতিয়াক বলেন, আমদানি তথ্য অনুযায়ী বাজারে সংকট হওয়ার কথা নয়। তবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে ইচ্ছে করে আমদানিকৃত ফল কনটেইনারে যাতে কেউ ফেলে রাখতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, দ্রুত ফল ডেলিভারি নিতে দুইদফা ব্যবসায়ীদের চিঠি দেয়া হয়েছে।

এদিকে, বন্দরে ফল ফেলে রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগ মানতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। এবার দাম বাড়ানোর অজুহাত হিসাবে দেখাচ্ছেন লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাকে। অথচ বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি চীন ও মিশর থেকে আপেল, কমলা ও মাল্টা সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোটার্স অ্যাসোয়িশেনের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল আলম বলেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কোনো আমদানিকারক ফল বিক্রি করছে না। চাহিদা অনুযায়ীই বাজারে ফল সরবরাহ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে ২০ কেজির এক ক্যারেট আপেল ৪ হাজার ৭০০ টাকা, কমলা ৪ হাজার টাকা, ১৫ কেজির এক ক্যারেট মাল্টা ৩ হাজার ২০০ টাকা এবং ২২ কেজির আঙ্গুর সাড়ে ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা পর্যায়ে এসব ফলের দাম আরও বেশি।

আরও পড়ুন