২৪ অক্টোবর ২০২৫

রাউজানে ন্যায্যমূল্যে মাংস, ডিম ও দুধ কিনতে পেরে স্বস্তিতে ক্রেতারা

প্রতিবছর রমজান এলে অস্বাভাবিক, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং আকস্মিক হারে বৃদ্ধি পায় মাংস, ডিম ও দুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটে নি। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবনধারণ ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা জুড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আসছেন রাউজান উপজেলা প্রশাসন।
এবার চালু করেছেন সূলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রম।

“মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সূলভমুল্যে প্রাণিজ পুষ্টির সমাহার” এই প্রতিপাদ্যকে সমানে রেখে ২০ মার্চ (বুধবার) বেলা ১২ টায় রাউজান উপজেলার প্রশাসনিক ভবন চত্বরে এই বিক্রয় কার্যক্রম চালু করেন। রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সহযোগিতায় শেষ রমজান অবধি এই বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।

এই উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মার্মা। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রিদুয়ানুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুম কবির, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জয়িতা বসু, উপজেলা প্রকৌশলী জনাব আবুল কালাম প্রমূখ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষ ব্যাপক উৎসাহে মাংস, দুধ ও ডিম ক্রয় করছে।

সরকার নির্ধারিত ৬৫০ টাকা মূল্যে গরুর মাংস ক্রয় করার সুযোগ পাওয়ায় ক্রেতার মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। এছাড়া এই বিক্রয় কেন্দ্রে এক ডজন ডিম ১০০ টাকায় ও প্রতি লিটার দুধ ৭৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

মো. রফিক বলেন, গতরাতে পাহাড়তলী চৌমুহনী হতে ৮শত টাকা কেজি ধরে গরুর মাংস কিনেছিলাম। তারা মাংসর চেয়ে চর্বি দিয়েছে বেশি। সেখানে উপজেলা প্রশাসন ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছে। যা আমাদের মত মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত পরিবারের জন্য স্বস্তিদায়ক বটে। এমন কার্যক্রমের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা জানান, মাহে রমজান উপলক্ষে সরকার নির্ধারিত মূল্যে জনগণের মাঝে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছি। শেষ রমজান অবধি আমাদের এই বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জয়িতা বসু জানান, আজকে ২২৭ কেজি গরুর মাংস, ৩০ কেজি দুধ ও ৫,০০০ ডিম বিক্রি হয়েছে। ক্রেতাদের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে। সাধারণ ক্রেতাদের স্বস্তি দেয়ার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা।

আরও পড়ুন