কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় থেকে ৪ কিশোরসহ ৩ যুবককে ফের অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় তাদের মুক্তিপণ হিসাবে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে সবজি খেতে কাজ করতে যাওয়া পাঁচ জন এবং মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় টেকনাফের হোয়াইক্যং খারাংখালি কম্বনিয়া পাড়া পাহাড়ে দু’জনকে অপহরণ করা হয়।
চলতি মাসের ২৭ দিনে ২৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন।
অপহৃতরা হলো, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কম্বনিয়া পাড়ার ফিরোজ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ নুর (১৫) ও হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আমির হোসেনের ছেলে অলী আহমেদ(৩০)।এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ড করাচি পাড়ার লেদু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে মো. জুনায়েদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে মো. সাইফুল (১৪) ও শহর আলীর ছেলে মো. ফরিদ (২৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী ভিকটিমের পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, প্রতিদিনের মত বুধবার বিকালে সবজি খেত পাহারা দিতে গিয়ে ৫ শ্রমিককে অপহরণের শিকার হন। তাদের পরিবারের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়েছে। এছাড়া, মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদ নুর পাহাড়ে পাশে গরু চড়াতে যায়। দুপুরের দিকে অকস্মাৎ একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত পাহাড় থেকে নেমে এসে তাকে ও অলী আহমেদ নামের এক কাঠুরিয়াকে অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যার দিকে মোবাইলে কল করে দু’জনের মুক্তিপণ হিসেবে দু’লাখ টাকা দাবি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, দিনের পর দিন এভাবে অপহরণের ঘটনা বাড়ার কারনে কৃষক, শ্রমিক সহ পাহাড়ের বসবাসকারি মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, অপহরণের খবর পেয়ে ভিকটিমদের উদ্ধারে পুলিশের টিম পাহাড় অভিযান চালাচ্ছেন। অভিযান অব্যহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার আগে বৃহস্পতিবার ( ২১ মার্চ) হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালিতে খেত পাহারা দিতে গিয়ে ৫ শ্রমিক অপহরণের শিকার হয়েছিল। পরে তাদের চারজন মুক্তিপণে ছাড়া পান। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি তাদের অভিযানে তারা উদ্ধার হয়। এর আগে শনিবার ৯ মার্চ মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৬ বছরের এক ছাত্রকে অপহরণ করা হয়। তাকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে, গত তিন বছরের টেকনাফ উপজেলায় দেড় শতাধিক লোক অপহরণের শিকার হয়েছিল। অপহরণের পরে মুক্তিপন দিতে না পারায় টমটম( ইজিবাইক) ও সিএনজি চালকসহ কক্সবাজার থেকে টেকনাফে বেড়াতে আসা তিন যুবকসহ মোট পাঁচ জন খুনের শিকার হন।













