২৭ অক্টোবর ২০২৫

অনুপ্রবেশ করে ক্যাম্পে চিকিৎসা নিলো গুলিবিদ্ধ মিয়ানমার নাগরিক ও বিজিপি সদস্য

গুলিবিদ্ধ হয়ে অনুপ্রবেশ করে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চিকিৎসা নিয়েছে মিয়ানমার বিজিপি সদস্যসহ সেদেশের আরেক নাগরিক। সীমান্ত পার হয়ে গাড়িতে করে আসার পথে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে ৮ এপিবিএনের কাছে হেফাজতে দিয়েছে।

বুধবার (২২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সীমান্ত পার হয়ে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১১’র হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নেয়।

বিজিপি সদস্য ও মিয়ানমার নাগরিককে হেফাজতে নেয়ার পর আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিতে টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তায় কাজ করা ৮ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আমীর জাফর।

অনুপ্রবেশ করে চিকিৎসা নেয়ারা হলেন, মিয়ানমার রাখাইনের টংবাজার বুদিটংশীপ ৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন (বিজিপির) সদস্য কে পিউ কাইন (১৯) ও মিয়ানমার নাগরিক বুচিদং আলিয়ং এলাকার হোমেন আহমেদের ছেলে ইউসুফ নবী (২০)।

৮ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আমীর জাফর জানায়, বেশ কিছু সময় ধরে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি (এএ) ও বিদ্রোহী গ্রুপের সাথে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত চলছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে বেশ কিছু বিজিপি ও সেদেশের সেনা কর্মকর্তা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিল। তাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় সেদেশের সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরই জেরে টেকনাফ সীমান্ত অতিক্রম করে উখিয়াস্থ ৮ এপিবিএন পুলিশ চেকপোস্ট সংলগ্ন মরাগাছ তলা দিয়ে প্রবেশকালে সাধারণ রোহিঙ্গারা এ দুজনকে আটক করে ৮ এপিবিএন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ আহত ব্যক্তিকে ক্যাম্প-১১র বি/ ৫ ব্লকে আইআরসি হাসপাতালে প্রেরণ করে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে বিজিপি’র সদস্যকে ময়নারঘোনা ৮ এপিবিএন পুলিশের হেফাজতে রেখে টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে, টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল মহিউদ্দিনের সরকারি নাম্বারে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তার উত্তর না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন