২৬ অক্টোবর ২০২৫

রাষ্ট্রপতিকে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি, দাবি আদায়ে আলটিমেটাম

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল। রোববার (১৪ জুলাই) বেলা তিনটার দিকে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেন। তাদের সঙ্গে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তাও ছিলেন।

এর আগে, বেলা আড়াইটার পরে বঙ্গভবনে যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলে ছিলেন— নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, সার্জিস আলম, আরিফ হোসেন, হাসিব আল ইসলাম, উমামা ফাতেমা, রিফাত রশিদ, সুমাইয়া, আব্দুল হান্নান মাসুদ, মো. মাহিন সরকার, আব্দুল কাদের ও মেহেরান নিসা।

এদিকে আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীরা রাজধানীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে অবস্থান করছেন। সেখানে অনেক পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। আন্দোলনকারীরা বক্তব্য ও স্লোগান দিচ্ছেন।

এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে আন্দোলনকারীদের গণপদযাত্রা শুরু হয়।

গণপদযাত্রার জন্য আগে থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

দুপুর ১২টার কিছু পরে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শাহবাগ, মৎস্য ভবন হয়ে শিক্ষা অধিকার চত্বরে গিয়ে পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। তারা ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়-সংলগ্ন সড়কে ঢুকে পড়ে।

বেলা ১টা ১০ মিনিটে সচিবালয়ের সামনের সড়কে পুলিশের কয়েকজন সদস্য কথা বলতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের বাদানুবাদ হয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের নেতারা মাইকে কাউকে বিশৃঙ্খলা না করার অনুরোধ করেন।

একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় বসে পড়তেও বলা হয়। আন্দোলনকারীদের একটি অংশ বেলা ১টা ১৮ মিনিটে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন।

জিরো পয়েন্টে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এখানে আমরা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করব। আমাদের প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি দিয়ে বঙ্গভবন থেকে ফেরার আগ পর্যন্ত আমরা জিরো পয়েন্টের সড়ক অবরোধ করব। অবরোধে শিক্ষার্থী-প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেবেন।

আরও পড়ুন