নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে মোট ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অনেকেই।
পুরো দিনে গুলিবিদ্ধ সাতজন হলেন নগরের এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী মো. শুভ (২২), বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. সাইদ (২৪), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের আসাদ বিন ইসকার (২২), স্কুলছাত্র রাকিব শাহরিয়ার, আন্দোলনকারী মো. ইসমাইল (৩১), পথচারী মো. ইলিয়াস (২০) ও বোরহান উদ্দিন (২৫)।
আহত ব্যক্তিরা হলেন সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের মিনহাজুর রহমান, মো. মামুন, মো. আদনান, রুপম মজুমদার, মো. অমি, পথচারী হোসেন সোহরাওয়ার্দী , সিটি কলেজের ছাত্র আরেফিন শুভ, রিকশাচালক মোরশেদ, পথচারী হিমাদ্রী ও মো. মাহিন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, আজ বহদ্দারহাট, শাহ আমানত সেতু ও জিইসি এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়াও নগরীর বহদ্দারহাটে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে বহদ্দারহাট মোড়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে ইসমাইল হোসেন (৩১) এবং মোহাম্মদ ইলিয়াছ (২০) নামে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ইসমাইল শিক্ষার্থী এবং ইলিয়াছ শ্রমিক।
তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোটা আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পুলিশ সদস্যদের পিছু হটতে দেখা যায়। প্রায় আধ ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। বর্তমানে পুলিশ এবং শিক্ষার্থীরা বহদ্দারহাটের আরকান সড়কের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছে। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবীর বলেন, পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের ওপর ব্যাপক হারে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।