সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মূখ্যপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নিতে ঢাকা থেকে আসলেন আইনজীবী। জামিন শুনানি এগিয়ে আনাসহ তিন আবেদন করেছিলেন ঢাকা থেকে আসা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। কিন্তু ওকালতনামা না থাকায় আদালত সব দরখাস্ত নামঞ্জুর করেছেন।
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের শুনানির কথা ছিল। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুরের এ আদেশ দেন তাকে কারাগারে প্রেরণকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে কুপিয়ে সাইফুল ইসলাম আলিম নামে এক আইনজীবী হত্যার ঘটনা ঘটে। এতে তার পক্ষে না দাড়ানোর ঘোষণা দেয় চট্টগ্রামের আইনজীবীরা।
তবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি জানায়, তার পক্ষে বাহিরের কোন আইনজীবী অংশগ্রহণে কোন বাধা নেই। এর আগে চিন্ময় দাশের জামিন শুনানিতে তার পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে আদালত।
এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, তার জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ করার জন্য ঢাকা থেকে আইনজীবী আসছেন। তবে কোর্ট অনুমতি দেননি যেহেতু তার ওকালতনামা ছিল উনাদের। কারো পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করতে চাইলে ওকালতনামা লাগবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ঢাকা থেকে আইনজীবী আসার খবরে আদালত চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। সকাল থেকে আদালতের প্রবেশমুখ থেকে শুরু করে আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি।
উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে মামলার বাদী ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এরপর ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে ফেরার পথে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রক্ষ্মচারীকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন কোতোয়ালী থানায় হওয়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
পরে গত ৩ ডিসেম্বর ফের জামিন শুনানি হলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য্য করেন।













