আজ ২৫ ডিসেম্বর, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। সারা দেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায় যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উদযাপন করছে উৎসবমুখর পরিবেশে। গির্জাগুলোতে সকাল থেকেই বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটি প্রার্থনায় মানবজাতির কল্যাণ এবং শান্তির বার্তা তুলে ধরা হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বড়দিন ঘিরে সাজসজ্জা এবং আনন্দের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। ঘরে ঘরে রঙিন বাতি, ক্রিসমাস ট্রি এবং প্রতীকী গোশালা তৈরি করা হয়েছে। গির্জাগুলোর প্রবেশপথ এবং অভ্যন্তর সাজানো হয়েছে মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জায়।
ঢাকা মহানগরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বড়দিন উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর রাত থেকে ২৫ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফুটানো এবং ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে। সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ গির্জাগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মাসুদ করিম জানান, “বড়দিন নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উৎসবের পরিবেশে কোনো ধরনের ঝুঁকির তথ্য নেই।”
দেশব্যাপী উৎসবের আমেজএবার বড়দিন উপলক্ষে দেশব্যাপী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাড়িঘর এবং গির্জায় সাজসজ্জা করা হয়েছে। সকাল থেকে বিশেষ প্রার্থনা এবং ধর্মীয় গান পরিবেশন করা হচ্ছে। শিশুদের জন্য সান্তাক্লজ উপহার এবং বিশেষ আয়োজনও করা হয়েছে।
এছাড়া, অভিজাত হোটেলগুলোতে ক্রিসমাস ট্রি এবং আলোকসজ্জার বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে শহরের খ্রিস্টান সম্প্রদায় আনন্দ উদযাপন করছে।
বিশেষ সরকারি ছুটি ও গণমাধ্যমে আয়োজনবড়দিন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলো দিনটিকে ঘিরে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। টেলিভিশন এবং রেডিওতে বড়দিনের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হচ্ছে।
উৎসবের বার্তাবড়দিনের এই উৎসবে খ্রিস্টান সম্প্রদায় যেমন যিশুর শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিচ্ছে, তেমনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যেই উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। শান্তি, ভালোবাসা এবং মানবতার বার্তা নিয়ে উদযাপিত হচ্ছে আজকের এই দিন।
শুভ বড়দিন!