খাগড়াছড়িতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাজী মো. মিজানুর রহমান নামে এক প্রার্থীকে আটকে শারীরিক নির্যাতন ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী মিজান।
জানা যায় গেলো ১২ ডিসেম্বর- ২০২৪ ইংরেজী তারিখের খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেডের নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনী তফসীল ঘোষনার আবেদন জানিয়ে সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী কাজী মো. মিজানুর রহমান।
প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কাজী মো. মিজানুর রহমান খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ১০৭ নং সদস্য। তিনি জানান, খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি লিঃ হতে তার নিকট ১ টি পত্র পাঠানো হয়, যাহার রেজি: নং-৫৯১, তারিখ- ২৭ ডিসেম্বর- ২০২৪ ইংরেজী। ওই চিঠিতে নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন এবং নির্বাচনী আগামী ০৬ জানুয়ারী- ২০২৫ ইংরেজী তারিখ ঘোষনা করলে উক্ত তফসিলে ১২ ডিসেম্বর- ২০২৪ ইংরেজী তারিখে নির্বাচনী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য বলা হয়।
উক্ত নির্বাচনী তফসীলের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এবং সমিতির অন্যান্য সদস্যরা নির্বাচনী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে গেলে বিগত ১২ ডিসেম্বর-২০২৪ ইংরেজি তারিখ সকাল ১০ টায় সমিতির অফিস হতে জোড় পূর্বক ধরে নিয়ে খাগড়াছড়ি হোটেল মাউন্ট ইনের রুম নং- ২১৪ তে আটকে রেখে ভুক্তভোগীকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেন মো. শাহ জালাল, জসিম উদ্দিন, মো. নুরু, জাহিদুল ইসলাম, মো. সোহেল, মো. মনির ও মো. রাসেলন সহ অজ্ঞাতনামা দূর্বৃত্তরা।
ওই কক্ষে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাকে আটকে রেখে তার মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। ঘটনার পর ভুক্তভোগী কাজী মো. মিজানুর রহমান অভিযুক্ত ৭ জনের নাম উল্লেখ করে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার ও সদর মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বিবাদী মো. শাহ জালাল ও জসিম উদ্দিন জানান, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। ওইদিন কাজী মো. মিজানুর রহমানকে মারধর ও তার নগদ টাকা পয়সা ছিনতাই করা হয়নি।
আর অভিযোগের বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানার ওসি. আবদুল বাতেন মৃধা জানান, ভুক্তভোগী কাজী মো. মিজানুর রহমানের অভিযোগ পেয়েছি, পুলিশ সুপারও ঘটনার বিষয়টি অবগত আছেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ খানা গভীর ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী কাজী মো. মিজানুর রহমান তার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, বিবাদীগণের ভয়ে খাগড়াছড়িতে যেতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।













