২৫ অক্টোবর ২০২৫

ভারতে বাড়লো শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় বিচারের সম্মুখীন করতে তাঁকে দেশে প্রত্যর্পণ করার জন্য ভারতের কাছে বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকার অনুরোধ জানিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর তথ্য পাওয়া গেল।

গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত সে দেশেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাঁকে দেশে ফেরানোর আহ্বান বাড়ছে। তবে তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে অবগত আছেন এমন কয়েকজন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হত্যাকাণ্ড, গত ১৬ বছরে গুম-ক্রসফায়ার, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড—মোটাদাগে এ কয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে। শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক মন্ত্রিসভা, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা চলমান।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে বাংলাদেশ চিঠি পাঠিয়েছে বলে গত ২৩ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান।

এদিকে, ভারত ভিসার মেয়াদ বাড়ালেও বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাসহ আরও ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে। অভিযোগ রয়েছে, জুলাইয়ের বিক্ষোভে হত্যাকাণ্ড এবং গুমের ঘটনায় তারা জড়িত।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং-এর মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ‘গুমের ঘটনায় জড়িত ২২ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, আর জুলাই মাসের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭৫ জনের, যার মধ্যে শেখ হাসিনারও পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।’

একইসঙ্গে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ট্রাইব্যুনাল পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আরও ১১ জনকে আদালতে হাজির করতে হবে।

আরও পড়ুন