চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) তিনটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটনায় অন্তত ৪০-৫০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার বিষয়ে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকাল ৯টার দিকে যখন আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা তখন হঠাৎ মডিস্ট, জেএমএস এবং মেরিমো কারখানার শ্রমিকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় অনেকের হাতেই লাঠিসোঁটা দেখা যায়। একপক্ষ আরেকপক্ষকে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, বাৎসরিক ৯ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলনের মুখে অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিয়েছে। দেখাদেখি একই দাবিতে অন্য কারখানাগুলোর শ্রমিকরাও আন্দোলন শুরু করেন।
চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রমিজ নামে একজন জানান, গেলো বুধবার বেতন বৃদ্ধিতে আন্দোলনে মাঠে নামে দুই কারখানার শ্রমিকরা। পরে মেরিমো কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিলে মাঠ ছাড়ে মেরিমো কারখানার শ্রমিকরা। আজ শনিবার মেরিমো কারখানায় সকালে অতর্কিত হামলা চালায় মডিস্ট ও জেএমএস কারখানার শ্রমিকরা। এরপর সেখানে সেনাবাহিনি ও পুলিশ আসলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসে। এরপর মডেস্ট ও জেএমএস কোম্পানীর লোকজন আবারও মেডিক্যালে হামলা চালায়। এতে প্রায় ৩০০ জন আহত হয়।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, আন্দোলনের সময় কারখানার মূল গেট খোলা নিয়ে এক কারখানার শ্রমিকের সাথে আরেক কারখানার শ্রমিকের কথাকাটাকাটি হয়। এরপরই তাদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় একপক্ষ আরেকপক্ষকে ঢিল ছুঁড়তে থাকে। এতে অনেকেই আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনীও ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সর্দার মনির হোসেন বলেন, ‘১২টার পর থেকে আহতরা হাসপাতালে আসতে শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত ৬ জন হাসপাতালে এসেছেন। তাদেরকে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে; তাই নাম পরিচয় নোট করা হয়নি।’
